শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ফিরছেন সাকিব!
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অপেক্ষার প্রহর ফুরানোর সময় ঘনিয়ে আসছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেই ফিরছেন তিনি। তবে, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। এখনই এমন কিছু বলার সময়ও নয় বটে। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বলা যেতেই পারে, পরবর্তী সিরিজে দেখা যাবে তারকা অলরাউন্ডারকে।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় গেল বছরের ২৯ অক্টোবর সবধরণের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। সেই হিসেবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে এই বছরের ২৮ অক্টোবর। অর্থাৎ এর পরদিন থেকেই ক্রিকেট খেলতে কোনো সমস্যা নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
এরমধ্যে পরবর্তী সিরিজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে টাইগাররা। সেখানে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। তার মানে খেলা মাঠে গড়াতে গড়াতে নভেম্বর। আর সেই সময়ে ক্রিকেটে ফিরতে কোনো সমস্যা নেই সাকিবেরও।
লঙ্কা সফরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান কদিন আগে সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটা প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা দুই দলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছে। করোনায় দীর্ঘ বিরতিতে পড়েছে দু’দলই। বেশকিছু সিরিজের পাশাপাশি স্থগিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপও। তাই এই সিরিজটা আয়োজনে বেশ আগ্রহী দুই দেশ।
তবে চলতি মাসে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ-এলপিএল আয়োজন করছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। ফলে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর, এই দুই মাসে সিরিজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। এই টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেয়ায় আশঙ্কার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাও। তবে দুই দেশের বোর্ডের সম্মতিতে অক্টোবরের শেষভাগে হতে পারে সিরিজটি। সফরে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
এদিকে, গেল মাসে সাকিবও বিদেশি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগস্টে ইংল্যান্ডে অনুশীলন শুরু করবেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সাকিব কবে নাগাদ অনুশীলন শুরু করবেন সেটি অবশ্য জানা যায়নি।
এসব বিষয়ে সবসময় গোপনীয়তা অবলম্বন করা সাকিব গেল বিশ্বকাপের আগে নিবিড় অনুশীলন করেন ভারতের হায়দ্রাবাদে। তার ফলটা তো সবাই দেখেছেই। বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬০৬ রান করার পাশাপাশি ১১টি উইকেটও শিকার করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আবারো হয়তো তেমনই কিছু করবেন তিনি।