কবে মাঠে নামবে এইচপি, কবে তাদের প্রধান কোচ?
বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে হাইপারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। এখান থেকেই রুবেল-শফিউলদের মতো ক্রিকেটার তৈরি হয়ে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের প্রধান কোচের পদটি প্রায় আট মাস শূন্য পড়ে আছে। গত বছর ডিসেম্বরে এইচপির প্রধান কোচ সাইমন হেলমট পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বিসিবির সঙ্গে সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত বিসিবি কোচ নিয়োগ করতে পারেনি। অবশ্য করোনার আগ থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হলেও এখনও কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানালেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান।
করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে এইচপির প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও করোনার কারণে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া থেমে আছে। এই মুহূর্তে বিসিবি করোনার আগে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান কোচ নিয়োগ করতে চাইছে।
বুধবার এ নিয়ে সভায় বসেছিলেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান। সভায় তার সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার ও বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী। কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘আজ মূলত কো-অর্ডিনেশন মিটিং হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের এইচপি প্রোগ্রাম কীভাবে শুরু করা যায়। হেড কোচ নিয়োগের ব্যাপার আছে, যারা যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তাদের শর্ট লিস্ট আমরা করেছি। করোনার আগে ওই লিস্ট করা হয়েছে বিধায় নতুন করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এরপরই আমরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’
প্রধান কোচ হিসেবে চম্পকা রামানায়েকের নাম শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। করোনার ঠিক আগে আগে এই পদটা তার জন্য অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কান কোচ আগের অবস্থানে আছেন কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান বিসিবি। তাই খুব শিগগিরই রমানায়েকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে।
শুধু কোচ নিয়োগই নয়, এইচপি দলকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর চিন্তা ভাবনাও করছে বিসিবি। ‘শ্রীলঙ্কা সফরে গেলে কীভাবে আমরা সেখানে ম্যাচ খেলবো, ট্রেনিং করবো, তার আগেও আমাদের প্রস্তুতিটা কেমন হবে। এগুলো নিয়ে চিন্তা করার ব্যাপার আছে। শ্রীলঙ্কা গিয়ে ক্যাম্প করা যায় কি না সেটাও আমাদের মাথায় আছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করবো যে তারা কীভাবে সিরিজটি আয়োজন করতে পারবে’-বলেছেন নাঈমুর রহমান।
করোনার এই সময়ে কীভাবে কাজ করলে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, সে ব্যাপারেও সভায় আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, ‘এখন কোনও কিছুই আগের মতো নেই। তারপরও আমাদের প্রোগ্রাম কীভাবে শুরু করা যায় সে ব্যাপারে ভাবতে হবে। কারণ একাডেমির ওখানে যদি ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করি সেখানে খেলোয়াড়দের থাকা (অ্যাকোমোডেশন), তাদের খাওয়া (ক্যাটারিং), স্বাস্থ্যবিধি এসব ব্যাপার জড়িত। কীভাবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’