শেয়ারবাজারে লেনদেন কমেছে ১৮৮ কোটি টাকা
শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করহার কমানোর প্রভাবে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে বাজারটিতে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন দেখা দিলে গত সোমবার দুপুরে মূলধনী মুনাফার ওপর করহার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়লেও লেনদেনের মাঝে কয়েকবার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় শেষ পর্যন্ত পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৮৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮১ প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরও রয়েছে- পদ্মা অয়েল, ফারইস্ট নিটিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, গ্রামীণফোন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ব্র্যাক ব্যাংক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।