ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৪

রবির আইপিওতে আসতে আর কোনো বাধা নেই

অনলাইন ডেস্ক
রবির আইপিওতে আসতে আর কোনো বাধা নেই

পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য পাবলিক ইস্যু বিধিগুলোর কয়েকটি ধারা থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিটির জমা দেওয়া এক আবেদনের জবাবে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৩ কোটি ৬১ লাখ শেয়ার এম্প্লয়িস স্টক পারচেজ প্লান (ইএসপিপি) এর অধীনে রবির কর্মচারীদের দেওয়া হবে। যা‌ আইপিওর অংশ হিসাবে বিবেচিত হবে। ইএসপিপি হল একটি কোম্পানি পরিচালিত প্রোগ্রাম। যা অংশগ্রহণকারীর কর্মচারীরা ছাড়ের মূল্যে কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে পারে। কর্মচারীদের অংশ বাদ দিয়ে রবি ফিক্সড প্রাইস মেথড এর অধীনে সিকিউরিটিজ বিতরণ নিয়ম মেনে চলবে।

এছাড়া এর আগে, রবি ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) একটি নির্দেশ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিল। যেখানে বলা ছিল যে আইপিও ইস্যুয়ারকে “শেয়ার মানে ডিপোজিট” এর বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করতে হবে। তাছাড়া রবি তার কর্মীদের কাছে এই শর্ত নিয়ে শেয়ার বিক্রি করেছিল, যে বিএসইসি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করলেই তারা শেয়ার বরাদ্দ পাবে। অন্যথায়, কোম্পানি কর্মীদের টাকা ফেরত দেবে।

বিএসইসি কর্মীদের শেয়ারের জন্য লক-ইন এর সময় নির্ধারণ করে দেবে এবং আইপিও অনুমোদনের সময় অন্যান্য শর্তাদি উল্লেখ করবে।

এর আগে রবি আইপিওতে নতুন শেয়ার জারির মাধ্যমে বাজার থেকে ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছিল। কোম্পানি ফেস ভ্যালু ১০ টাকার মূল্যে ৫২ কোটি ৩৮ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করবে।

নতুন শেয়ারগুলোর মধ্যে, ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ জনসাধারণের জন্য বরাদ্দ থাকবে। যা কোম্পানির পোস্ট-আইপিও শেয়ারের ৭.৪%। এরমধ্যে, কর্মীদের কাছে ইএসপিপির আওতায় ১৩ কোটি ৬১ লাখ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেওয়া হবে, যা পোস্ট-আইপিও শেয়ারের ২.৬%। একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর হিসাবে প্রোফাইল বাড়ানোর জন্য আইপিওর অর্থ রবির মূলধন তহবিলে ব্যয় করা হবে।

এদিকে ১৯৯৭ সালে টেলিকোম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল (বাংলাদেশ) এর একটেল ব্র্যান্ড নামে কোম্পানিটি কাজ শুরু করে। ২০১০ সালে এটি রবি হিসাবে পুনর্নবীকরণিত হয় এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড করা হয়।

২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পরে কোম্পানিটি দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং একই নাম ধরে রেখেছে। এই একীভূতকরণের কারণে বেশ কয়েক বছর লোকসানের পরে গত বছর কোম্পানি মুনাফা অর্জনে সহায়তা করেছে।

তাছাড়া মালয়েশিয়ার টেলিকম জায়ান্ট আজিয়াটা গ্রুপ বেরহাদের কাছে রবি আজিয়াটার ৬৮.৬৯% নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির অন্যান্য শেয়ারহোল্ডাররা হলেন দিল্লি ভিত্তিক ভারতী এয়ারটেল এবং টোকিও ভিত্তিক এনটিটি ডকোমো।

বর্তমানে রবির মূল প্রতিযোগী গ্রামীণফোন হ’ল একমাত্র টেলিকম অপারেটর যা বাংলাদেশি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত।

 

উপরে