ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৯ জুলাই, ২০২০ ১১:৩২

ব্যাংক-বীমায় চাঙ্গা পুঁজিবাজার

অনলাইন ডেস্ক
ব্যাংক-বীমায় চাঙ্গা পুঁজিবাজার

ব্যাংক ও বীমা খাতের লভ্যাংশের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। গতকাল এই দুই খাতের শেয়ারে ভর করে পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘদিন বন্ধের পর গত ২৬ কার্যদিবসের মধ্যে গতকালই সবচেয়ে বেশি সূচক বেড়েছে। ফ্লোর প্রাইসের মধ্যে দর পরিবর্তন হওয়া কোম্পানির সংখ্যাও বেড়েছে। লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার হঠাৎ চাঙ্গাভাবের নেপথ্যে ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা বড় প্রভাব ফেলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সাধারণ বীমা খাতের ৩৫টির মধ্যে ৩১ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাধারণ বীমা খাতের বাজার মূলধন ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া জীবন বীমা খাতের শেয়ার দর গড়ে ২ দশমিক ১ বেড়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে দুই শতাংশ ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, তার প্রতিফলন বীমা খাতে পড়েছে। ন্যূনতম শেয়ার না থাকা পরিচালকদের বড় অংশই বীমা খাতের।

এছাড়া লভ্যাংশের প্রভাবে সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনী খাত ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে। গতকাল এ খাতের ১৫টির দর বেড়েছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। গতকাল ব্যাংক খাতের বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

এছাড়া মঙ্গলবার বিদেশি বিনিয়োগনীতি শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনও পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলছে। এখন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে লভ্যাংশের অর্থ বাইরে না পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব খুলে সেখানে রাখতে পারবে। এফসি হিসাবে রাখা এই অর্থ আবার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।

ব্যাংক ও বীমা খাতের শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৩২ দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪০৩৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৫৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২৩১ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৩৮ কোটি টাকা।

এদিকে ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর থেকে পুুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির লেনদেন হচ্ছিল না। সামান্য লেনদেন হলেও ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে দর পরিবর্তন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত ৩০ জুন দর বৃদ্ধি-হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৬২টি, যা গতকাল ১২৪টিতে উন্নীত হয়েছে। যদিও গতকাল দুই-তৃতীয়াংশ সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত ছিল।

গতকাল লেনদেনকৃত কো¤পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইতে গতকাল দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ব্যাংক ও বীমা খাতের কোম্পানি। দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান কো¤পানি হলো জনতা ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, বীকন ফার্মা, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি., ঢাকা ব্যাংক লি. পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স ও জি কিউ বলপেন। 

এছাড়া লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লি., বীকন ফার্মা, প্রিমিয়ার ব্যাংক লি., অরিয়ন ফার্মা, অরিয়ন ইনফিউশনস, ইন্দো-বাংলা ফার্ম, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, এক্সিম ব্যাংক ও ওয়াটা কেমিক্যাল। 

অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো ঢাকা ডাইং, মেঘনা পেট, জেনারেশন নেক্সট, গ্ল্যাক্সোস্মিথ ক্লাইন, অ্যাপোলো ইস্পাত, তাল্লু স্পিনিং, পিপলস ইন্সুরেন্স, মিথুন নিটিং, জাহিনটেক্স ও পূূবালী ব্যাংক লি.।   

উপরে