কিছুটা সংস্কার না করে নির্বাচনে গেলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
কিছুটা সংস্কার না করেই যদি নির্বাচনে গেলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় সংলাপে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে আহতদের মধ্যে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনের অবস্থা গুরুতর। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অভ্যুত্থান হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’
২০০৭ সালের সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সরকার এসে সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি।’
বর্তমান বাংলাদেশকে সেকেন্ড রিপাবলিক অব বাংলাদেশ হিসেবে অভিহিত করবেন মন্তব্য করে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন সংস্কার না করলে তা আর কখনো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কারের জন্য ন্যূনতম সময় দিতে হবে এবং সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতি পার করছি। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়।’
তিনি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, ‘এরপর আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আইন করা প্রয়োজন।’
নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। একজন প্রার্থীকে নির্বাচনের আগে দলের ন্যূনতম সদস্য হতে হবে এবং অন্তত তিন বছর দলের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।’
নির্বাচন আইনেও বড় ধরনের সংস্কার দরকার বলে মনে করেন এই উপদেষ্টা।