নথি চাওয়ার পরেই কেন আগুন: রিজভী
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশেষ অগ্রাধিকারের আট প্রকল্পে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিষয়ে নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “গতকালই আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি যে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই নথি চাওয়ার পরেই গভীর রাতে (সচিবালয়ে) এই আগুন।…এটা জনগণের মধ্যে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।”
উচ্চ পর্যায়ের ‘নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে’ আগুনের ঘটনা তদন্তের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, “কারণ গতকাল শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কিছু নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে অনেক নথি পুড়ে যাওয়া এবং সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
“মধ্য রাতের যে আগুন…কোনো মুখরোচক কথা বলতে চাই না। এই আগুনে অনেক নথিপত্র পুড়ে গেল।”
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় কথা বলছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের এক দিন আগে শেখ হাসিনার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নথি চাওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “একটি ঘটনা আরেকটি ঘটনাকে সন্দেহ তৈরি করে। চারিদিকের বিভিন্ন ঘটনায় আমরা শঙ্কিত, আমরা ভয়ার্ত। ব্যক্তিগত ভয়ের কিছু নয়, রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের ভয়।
উল্লেখ্য, বুধবার গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় দশ ঘণ্টা পর সেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়।
দশ তলা ওই ভবনেই অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দপ্তর রয়েছে।