ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
আপডেট : ৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ২১:২৪

এই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক
এই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি মনে করেন, বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লোকজনও ভোট দিতে যাবে না। কারণ, তারা জানে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রার্থী ইতিমধ্যে জয়লাভ করে ফেলেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

৭ জানুয়ারি দেশে নির্বাচন নয়, সেদিন একটি ভুয়া নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হবে বলে মনে করেন আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। মনোনয়নের আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে কে কোন আসন নেবে, তা নির্ধারিত হয়ে গেছে। ভোট কারচুপির প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট রিগিং (কারচুপি) বলে একটা শব্দ আছে। এটা তো ভোট রিগিং নয়, সারা দেশ রিগিং করে ফেলছে। মানুষ তো চুরি করে লুকিয়ে-চুকিয়ে, যাতে অন্য কেউ জানতে না পারেন। আজকে এই সরকার রিগিং প্রকাশ্যে, সবাইকে ঘোষণা দিয়ে, টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে ৩০০ আসন নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচনের এক মাস আগেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন এই নির্বাচনে জনগণকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘এই সাজানো ও ভুয়া নির্বাচনে ভোট দেওয়া না-দেওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না। কেন যাবে? আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা যদি জানে তার প্রার্থী ইতিমধ্যে এমপি হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পাওয়ার মধ্যে, সে ভাবছে, খামাখা ভোট দিতে গিয়ে আমার সময়–শক্তি কেন নষ্ট করব?’

এই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘তবে যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে, সেটা ৫ শতাংশ যদি ৫০ শতাংশে উন্নীত হয় তাহলে আমার আপত্তি নাই। কারণ, এই হার তো ভোটারদের উপস্থিতি দিয়ে নির্ধারিত হয় না। এই সংখ্যা নির্ধারিত হয় নির্বাচন কমিশনের কল্পনায়। তারা বিশ্ববাসীদের প্রতারিত করার জন্য যে হার দেখানোর প্রয়োজন মনে করবে, ভোটের ফলাফলে সেই সংখ্যাই দেখাবে। কাজেই এটা নিয়ে আমার আপত্তি নেই।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি প্রকৌশলী আবদুল হালিম প্রমুখ। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা নজরুল ইসলাম এই সভার সভাপতিত্ব করেন।

উপরে