ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:৫৫

আগামী বছরের শুরুতে আসতে পারে নির্মল বায়ু আইন: সাবের হোসেন চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
আগামী বছরের শুরুতে আসতে পারে নির্মল বায়ু আইন: সাবের হোসেন চৌধুরী

আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশ নির্মল বায়ু সংক্রান্ত একটি নতুন আইন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।

‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ক্লিন এয়ার ফর ব্লু স্কাইজ’ উপলক্ষে সোমবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা জানান তিনি। ‘বাংলাদেশের নির্মল বায়ু সংক্রান্ত আইন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)।  

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নভেম্বরের শেষদিকে জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে খসড়া নির্মল বায়ু আইনটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি ওই অধিবেশনেই আইনটি পাশ করতে। তাহলে আগামী বছরের শুরুতেই আমরা হয়তো নতুন আইনটি পাব।

গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৭ সেপ্টেম্বরকে 'ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ক্লিন এয়ার ফর ব্লু স্কাইজ' ঘোষণা করে। প্রথমবারের মতো বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে ৩ থেকে ৪টির মধ্যে রাখার চিন্তা করছে। আমি মনে করি এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। পরিকল্পনায় থাকলেই যে সব কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে, এমন নয়।

নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে সাবের হোসেন বলেন, বড় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি বাংলাদেশে একটি সমস্যা, তবে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে ও সৌরবিদ্যুতের দাম কমছে। আমরা আশাবাদী যে এর সমাধান হবে, সঙ্গে নতুন নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস পাওয়া যাবে। 

তিনি বলেন, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।   যদি আমরা শতভাগ নাও পারি, ৫০-৭০ শতাংশ হলেও সেটা বড় অর্জন।   শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের রোডম্যাপ তৈরি করে ফেলেছে। যদি তারা পারে, আমরা কেন নয়?

বেলার প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান খসড়া নির্মল বায়ু আইনের বিভিন্ন দিক আলোচনায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজশাহী দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বায়ু দূষণ কমিয়ে শহরের মধ্যে সবুজকে ফিরিয়ে আনতে হয়।

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর বলেন, বায়ু দূষণের জন্য প্রতিবছর ঢাকায় অন্তত ৩৫৮০ জনের অকালমৃত্যু হয়। ফুসফুস, স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি ও হৃদপিন্ডসহ বায়ুদূষণ শরীরের প্রায় প্রত্যেক অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে।

ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী ঋত্বিক দত্ত ও ক্লিন এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী। সঞ্চালনা করেন বিদ্যা দিনকার।

উপরে