ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:৩২

কাঁদলেন শামীম ওসমান

অনলাইন ডেস্ক
কাঁদলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মসজিদের ভেতরের চিত্র দেখে কেঁদে ফেলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান। এ ঘটনায় তিনি গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার রাতে মসজিদে বিস্ফোরণের পর শনিবার দুপুরে শামীম ওসমান ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শন করতে যান। এ সময় তিনি মসজিদের ভেতরে ঘুরে দেখেন।

পাশাপাশি এ ঘটনায় নাশকতায় আশঙ্কাকেও উড়িয়ে না দিয়ে সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্তের আহ্বান জানান এমপি শামীম ওসমান। মসজিদ পরিদর্শন শেষে শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে তুচ্ছভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটা ছোট কোনো বিষয় না। শুধু গ্যাসের কারণেই এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে এটাকেই প্রাধান্য দিয়েই শেষ করা যাবে না। কারণ এর আগেও আমাদের ওপরেও ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে কারণেই আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি কোনো এক্সপার্ট না। সে কারণেই আমি এক্সপার্টদের দিয়ে গভীরভাবে তদন্তের কথা বলছি। এটা এসির বিস্ফোরণ কি না সেটাও তদন্ত করা উচিত। তবে সচরাচর এসির গ্যাস সিলিন্ডার থাকে বাইরে। সেটা ভেতরে বিস্ফোরণের কথা না। এছাড়া গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। যদি মসজিদের ভেতরে এতই গ্যাসের রিজার্ভ থাকতো তাহলে সেটা তো মাগরিবের সময়ে কিংবা এশার আগে দরজা খোলার কারণে বের হয়ে যেত।

শামীম ওসমান বলেন, যেহেতু অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমার ওপর ১৬ জুনের বোমা হামলা হয়েছিল। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। আমি বলছি না এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। তবে আমি এর গভীর তদন্ত হতে হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় দয়া করে কোনো পারসেপশন তৈরি করবেন না। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন জরুরি।

তিনি আরো বলেন, এটা দুর্ঘটনা বা নাশকতা আমি কোনটিই বলবো না। কিন্তু আমি নাশকতার বিষয়টিকেও ফেলে দিচ্ছি না। তবে এর গভীর তদন্ত হতে হবে। আর গ্যাসের লাইন থাকে বাইরে। আর ভেতরে থাকলেও কতটুকু গ্যাস জমে থাকবে। এত বড় বিস্ফোরণ ঘটবে সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। আর আল্লাহর ঘরে তো কেউ সিগারেটে আগুন ধরায়নি। এছাড়া অনেক প্রশ্নও সামনে চলে আসে। কারণ বিস্ফোরণ ঘটলে এক কোনায় ঘটতে পারতো। কিন্তু পুরোটায় ছড়ালো কীভাবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার তল্লা চামারবাড়ি বাইতুল সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি জমার পর সেখান থেকে তিতাস গ্যাস লাইনে লিকেজ দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকেও বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। দুর্ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

উপরে