খুলনায় হঠাৎ বিএনপিতে তুমুল বিতর্ক, তোলপাড়
খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চাপে পড়েছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা। প্রতিবার্ষির্কীতে অনুমোদিত কমিটির বাইরে আলাদা সমাবেশ করে বিভাজন তৈরি করার অভিযোগ তুলছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। তবে জবাবে বিএনপি নেতারা বলছেন, ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের প্রতি সন্মান জানিয়ে ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২২ আগস্ট খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, খুলনা মহানগরের ব্যানারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা অংশ নেয়।
এতে ক্ষোভ হতাশা প্রকাশ করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম একরামুল হক হেলাল জানান, ‘খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মূল অনুষ্ঠান ছিল ১৯ আগস্ট। কিন্তু অনুমোদিত কমিটির বাইরে ২২ আগস্ট খন্ডিত অংশের পাল্টা সমাবেশ দলে বিভাজন তৈরি করছে।’ এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে তারা বিএনপির ওই নেতাদের উদ্দেশ্য করে ‘বেওয়ারিশ কর্মসূচিতে যোগদান’ ও ‘অপরিণামদর্শী কার্যকলাপ’ বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে নিজের ফেসবুকে স্টাটাস দেন (মন্তব্য) মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘১৪ আগস্ট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিকে ফোন দিয়ে সবার অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালন করার কথা বলেছিলাম। হতবাক হয়েছি, আমি দলের সভাপতি হয়েও ১৯ তারিখের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাইনি, অনেক নেতা-কর্মীরা তাতে অংশ নিতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের ২২ আগস্ট সমাবেশের দাওয়াত পেয়ে না যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতাদের সম্মান রক্ষায় আমি অংশ নিয়েছি।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে বিএনপি সভাপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম একরামুল হক হেলাল বলেন, ‘মূল কমিটির বাইরে খন্ডিত একটা অংশের অনুষ্ঠানে বার বার যোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীর দাবির মুখে সম্মানজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচির বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ জানা যায়, বর্তমান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলে সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, মহানগর কমিটি গঠন করার সময় আন্দোলনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে।