ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২০ ১৫:০০

কে হচ্ছেন নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারী?

অনলাইন ডেস্ক
কে হচ্ছেন নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারী?

উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে। রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ ও সংসদীয় আসন-৫১। প্রায় এক যুগ শাসন করার পর গত ২৭ জুলাই সাংসদ ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় আসনটি শূণ্য হয়। ইতোমধ্যে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। অনেকেই শুরু করেছেন আগাম নির্বাচনী গনসংযোগ, পথসভা, মিটিং ও সিটিং। তবে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতিক তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

ইতোমধ্যেই ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর), সিরাজগঞ্জ-১ ও পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়েছে। আগ্রহী মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা সোমবার (১৭ আগস্ট) থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবেন। রোববার দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এবং লোকসমাগম না করে (এক/দুই জন ব্যক্তির বেশি প্রবেশ না করা) আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে এক সময় রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলো জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা। সেই সময় এই জনপদে সর্বহারারা দিনে-দুপুরে মানুষকে জবাই করতো। সর্বহারার অধ্যায় শেষ করতেই উত্থান হয় জেএমবি নামক বাংলা ভাইয়ের। দীর্ঘদিন চলে তাদের নিমর্ম সন্ত্রাসী তান্ডব। তারা মানুষদের গোয়ালের গরু রাখেনি, ধানের গোলায় ধান রাখেনি। শুরু করেছিলো লুটপাটের রাজ্য। পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর তৎপড়তায় ও সদ্য প্রয়াত সাংসদ ইসরাফিল আলমের নেতৃত্বে সেই রক্তাক্ত জনপদে ফিরে আসে শান্তির সুবাতাস। বন্ধ হয় জবাই, হানাহানি ও রাহাজানি।

জানা গেছে, ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান। ২০০১ সালে ইসরাফিল আলমকে পরাজিত করে আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন। একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে আবারো বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে।

প্রয়াত সাংসদ ইসরাফিল আলমের স্ত্রী পারভীন সুলতানা বিউটি বলেন, এই আসনে আমি মানুষের কাছে একটি পরিচিত মুখ। স্বামীর পাশাপাশি আমিও বিভিন্ন সময় এই দুই উপজেলার মানুষদের পাশে দাড়িয়েছি। যদি প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি ইসরাফিলের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো ইনশাল্লাহ।

সাবেক সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন মনোয়ারা হক বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত আসনে প্রথম এমপি হওয়ার পর থেকে রাণীনগর ও আত্রাইবাসীর জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রী আমার সবকিছু বিবেচনা করে যদি আমার এলাকার মানুষদের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ্রগ্রহণ করবো

 

উপরে