ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:৩৫

দস্তগীর জাহাঙ্গীরের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
দস্তগীর জাহাঙ্গীরের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে, স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে একাধিক প্রশ্ন করেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর। প্রতিটি প্রশ্নই মনগড়া হওয়ায়, না সূচক জবাব দেন ম্যাথিউ মিলার।

দস্তগীর জাহাঙ্গীরের মিথ্যা প্রশ্নের শুরুটা হয় এভাবেই। জানতে চাইলেন,  বাংলাদেশে পুলিশের ২৫২ জন অফিসারকে চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। দস্তগীরের দাবি তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তাদের বাদ দেয়া হয়। বাস্তবে বাদ হওয়া সবাই হিন্দু নয়। তাছাড়া ট্রেনিংয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। এমন বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না।

বানোয়াট প্রশ্নে মিলার না সূচক জবাব দেয়ার পর ওই সাংবাদিক আবারো একই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যহীন নিয়োগ নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি? জবাবে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে মিলার বলেন, একটু আগেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মিলার বলেন, যে প্রতিবেদন তিনি দেখেননি, তা নিয়ে অনুমান করে কিছু বলবেন না। 

সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার করেন ছাত্রলীগ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে। দস্তগীর জাহাঙ্গীর বলেন, গণতান্ত্রিক বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাস্তবে দেড় দশক নানা অপরাধে যুক্ত থাকা ছাত্রলীগ রয়েছে আত্মগোপনে। আর যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা। বিক্ষোভের জেরে কোন ছাত্রলীগকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে দস্তগীরের অভিযোগ পুলিশ বল প্রয়োগ করছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি মার্কিন এই কূটনীতিকের কাছে পরিস্কার নয়। তবে তিনি বলছেন বিক্ষোভ-সমাবেশের অধিকার সবারই থাকা উচিত। মিলারের এমন বক্তব্যের বরাত দিয়ে প্রথমআলো পত্রিকা অতিরঞ্জিত করে বলছে, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার ব্যাপারে, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকার থাকা উচিত।

এরপর আবারও প্রশ্ন করতে গেলে তাকে থামিয়ে দেন ম্যাথিউ মিলার।

উপরে