ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:১৯

হাসিনার ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসিনার ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তে?

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার অভিযোগে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরোয়ানা জারি করে বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলেই হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে—এমন সরলভাবে বিষয়টি ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ হাসিনার ফেরা-না ফেরার বিষয়টি এখন নির্ভর করছে ভারত সরকারের অবস্থান এবং সিদ্ধান্তের ওপর।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তাকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার পর এ প্রসঙ্গে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। তবে একই দিনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে দেশটির অবস্থান জানতে চান। জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারতে চলে আসার বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কারণে অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। এখনো আছেন, থাকবেন।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত পর্যায়েও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই নানা সমালোচনার পরও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তারা হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য থেকেও স্পষ্ট যে, হাসিনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। তাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনাকে ফেরত চাইলেই ভারত তাকে ফিরিয়ে দেবে—সমীকরণটা এত সহজ নাও হতে পারে। কারণ তাকে ফেরত দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি এখন ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং দুই দেশের রাজনৈতিক বোঝাপড়ার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‘বল’ এখন পুরোপুরিভাবে ভারতের ‘কোর্টে’।

উপরে