ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৪৪

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম

রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচাবাজার। গতকাল বিকেলবেলা এক ডিম দোকানদারের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাত রহমানের চলছিল তুমুল বাগবিতণ্ডা। দোকানদার ১ ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকার নিচে দেবে না, কিন্তু তিনি ১৬০ টাকায় নেওয়ার জন্য দামাদামি করছেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে চলছে বাগবিতণ্ডা। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের মনের কষ্ট ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে রিফাত বললেন, ‘কখনো বন্যা, কখনো বৃষ্টি তো কখনো পণ্যের সংকট- এসব নানা অজুহাতে দিন দিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে যাচ্ছে।

প্রতিদিনই বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। না খেয়ে থাকা গেলে বড় বাঁচা বাঁচতাম। কোনো দিন শুনলাম না জিনিসের দাম কমেছে। আমদানিতে বা পাইকারি বাজারে যদি ৫ টাকা বাড়ে, খুচরা বাজারে সেটা বাড়ে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ব্যবস্থাপনার যাচ্ছে তাই অবস্থা। এসব দেখার যেন কেউ নেই। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তের হয়েছে যত জ্বালা।’

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে চলে গেলেন মধ্যবয়স্ক লোকটি। শুধু রাজধানীর খিলগাঁও বাজারই নয়। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জিনিসপত্র কেনার সময় কোনো না কোনো দোকানদারের সঙ্গে ক্রেতার বাকবিতণ্ডতার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ডিমের বাজারে অস্থিরতা লেগে আছে। সবজির বাজারে আগুন লেগেছে বলা যায়। বেশির ভাগ সবজিই ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অস্বাভাবিক হারে।

অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার কারসাজি আর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিমের বাজারের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার কয়েকবার ডিমের দাম নির্ধারণ পুনর্নিধারণ করে দিলেও খুচরা পর্যায়ে ক্রেতারা সেই দামে তা কিনতে পারছেন না। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে এখনও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে।

কোথাও কোথাও আরেকটু কম। ১৭০ টাকা। অবশ্য, দুয়েকটি জায়গায় ১৬০ টাকা দরে ডিম বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। যেখানে ১৬০ টাকা দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে সেখানে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা। কোনো কোনো বাজারে তা ১৭০-১৮০ টাকাও রাখা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, মাত্র এক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত।

বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। পাইকারদের দাবি, পিস প্রতি প্রায় দেড় টাকা বেশি দরে কেনার কারণে খুচরাতেও দাম পড়ছে বেশি। অন্যদিকে উৎপাদক পর্যায়ে বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এই নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।

এদিকে, ক্রেতারা বলছেন শুধু দাম বেঁধে দিলে হবে না। সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে হবে সরকারকে। এর আগে, গত ২ দিন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ডিমের আড়ত বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার রাত থেকে আবার সচল হলে জমে ওঠে তেজগাঁও এর আড়ত। ফলে রাজধানীতে ডিমের জোগান স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

এদিকে চড়া সবজির বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ টাকা কেজি করে। আর গত সোম ও মঙ্গলবার শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই ৪৯৮ টন কাঁচামরিচ আমদানি হলেও এখনো এই নিত্যপণ্যটির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। তবে ৭০০ টাকা কেজি ছোঁয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

তবে গতকাল কারওয়ান বাজারে কাঁচামরিচের দাম পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। যদিও এর আমদানি মূল্য কেজি প্রতি মাত্র ৬০ টাকা, যা স্থলবন্দরে ৩৬ টাকা শুল্ক কর যোগ করে পড়েছে মাত্র ৯৬ টাকা। তবে কাঁচামরিচের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে বাড়তি দামে মরিচ কেনায় একেবারে দাম কমানো সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আর দুই তিন দিনের মধ্যে কাঁচামরিচের দাম আরও কমবে। এদিকে, কাঁচামরিচের দাম ওঠানামার ক্ষেত্রে আরেকটি কারণ জানিয়েছেন তারা।

কাঁচামরিচের পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শুক্র ও শনিবার আমদানি বন্ধ থাকায় ওই দুদিন আগের মরিচের ওপর বাজার নির্ভর করে। ফলে চাহিদা বেশি থাকায় সপ্তাহের বৃহস্পতি থেকে রবিবার পর্যন্ত মরিচের দাম বেশি থাকে। সোম থেকে বুধবার তা আবার কমে যায়। দৈনিক বাংলার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে এই প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে তা আর কার্যকর থাকেনি। বিশেষ করে গত সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।

কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে উৎপাদন হওয়া কাঁচামরিচের বড় জোগান আসে কুড়িগ্রাম ও শেরপুর-জামালপুর জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই পারের চরাঞ্চলগুলো থেকে। ময়মনসিংহ এবং আশেপাশের জেলাগুলোতেও কাঁচামরিচ উৎপাদন হয়। রাজধানীতে বেশির ভাগ সময় এসব জেলা থেকেই নিত্যপণ্যটি আসে। তবে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় মরিচের ক্ষেতগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই বাজারে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়ে যায়। অন্য সবজিগুলোর দাম বাড়ার পেছনেও এটি অন্যতম কারণ। যদিও বেশিরভাগ ক্রেতার কাছে এটি সিন্ডিকেটের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।

দৈনিক বাংলার বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধির দেওয়া তথ্যমতে, আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলসহ স্থানীয় সব খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দামবৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গাপূঁজার জন্য টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

অবশ্য দৈনিক বাংলার বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর সব এলাকাতেই হঠাৎ করেই ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে সবজির দাম। দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজির আড়ত বগুড়ার মহাস্থানগড়ের কাঁচা সবজির হাটগুলো। সেই হাটগুলোতেই গত সপ্তাহে পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে বন্যা ও নদীর পানি বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সমস্যা তো আছেই, নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় সিন্ডিকেটের কারসাজি এখন ছড়িয়ে গেছে মফস্বলের বাজার-হাটগুলোতেও। এর প্রভাব পড়ছে রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর বাজারগুলোতে।

সবজির দাম বাড়ার আরেকটি কারণ, প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরজুড়ে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক বেশি থাকে মূলত গ্রীষ্ম-বর্ষাকালের উৎপাদিত সবজির শেষ হওয়া ও শীতের মৌসুমের সবজি উঠতে দেরি হওয়ার কারণে। এই সময়টা মূলত শীতের সবজি বপনের মৌসুম। তাই শীতের আগাম সবজি এ মৌসুমে যা ওঠে সেগুলোর থাকে চড়া দাম। যেমন সীম এ সময়কালে ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তবে অতীতের এই খরাতেও পেঁপে, কাঁচাকলা জাতীয় সবজিগুলো ২০-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও এবার তার দাম দ্বিগুণেরও বেশি।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সবজির দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে হাতবদল। ট্রাক থেকে সবজি নামানোর সময় যা দাম, মোকামে তার চেয়ে বেশি। আবার মোকাম থেকে কিনে পাইকারি বাজারে যত দামে পণ্যটি বিক্রি হয় খুচরা বিক্রেতারা সেখান থেকে কিনে নিজের দোকানে নিয়ে আসার পর এর আনয়ন খরচের সঙ্গে কেজি প্রতি ৮ থাকা থেকে ২০ টাকা লাভ কষে দাম নির্ধারণ করেন। এ কারণে বাজারে সব সবজির দাম বেড়েছে।

টিসিবির তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৮২ থেকে ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া বেগুন মানভেদে কেজিতে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, টমেটো কেজিতে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স যথাক্রমে ৯০ থেকে ১২০ এবং ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ঝিঙে, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল ও ঢেঁড়শের কেজি ছিল ৭০-৮০ টাকার মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই এই সবজিগুলো কিনতে ক্রেতাদের ব্যয় করতে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা প্রতিকেজি। শুক্রবারও এই দাম ছিল বাজারে।

এ ছাড়া কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকা; বরবটি ১৩০-১৪০ টাকা, কচুর লতি ১৭০ টাকা, বেগুন ১০০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি। বারোমাসি টমেটো ২৬০-২৮০ টাকা কেজি। গাজর ১৮০ টাকা, শসার কেজি ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির মধ্যে ৫০ টাকার নিচে দাম রয়েছে পেঁপের, কেজি ৪০-৪৫ টাকা। কচুরমুখি পাওয়া যাচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, চাল কুমড়া ৮০ টাকা। এক ফাঁলি মিষ্টি কুমড়া দাম পড়ছে ৫০-৬০ টাকা। কাঁচকলার হালি ৮০ টাকা। একেবারে ছোট আকৃতির ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা পিস।

শাকের আঁটি মিলছে না ৩০ টাকার নিচে। বাজারে লাল শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৫০-৬০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটাশাকের আঁটি ৩০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। ধনে পাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৪০০ টাকা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে কাঁচামরিচের দাম ছিল ২০০-২৪০ টাকা কেজি।

এদিকে, তেল, চিনির আমদানি শুল্ক কমালেও তার কোনো প্রভাব নেই বাজারে। বরং গত সপ্তাহে দাম বেড়েছে দুটো নিত্যপণ্যেরই। সব ধরনের তেল লিটারে ৪ থেকে ৮টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলেছে জানিয়েছে টিসিবি। চিনির দামও বেড়েছে খানিকটা। সব মিলিয়ে বাজার করতে এসে ভোগান্তিতে ভোক্তারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজারের ক্রেতারা বলেছেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজি আসতে পারছে না। আর ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেককে।

এক সপ্তাহে বেড়েছে ১২ পণ্যের দাম

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গেল এক সপ্তাহের (৭-১৪ অক্টোবর) মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, যার মাঝে রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর মাংস ও ডিম।

অন্যদিকে এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১ টাকা বেড়েছে। এ নিয়ে এক মাসে বাড়ল ৪ টাকা। আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫ টাকা এবং গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে। টিসিবির তালিকায় শাকসবজির দাম উল্লেখ থাকে না। যদিও এখন বাজারে সবচেয়ে চড়া দাম শাকসবজির। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৮০ টাকা থেকে শুরু। কোনো কোনো সবজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি।

টিসিবি বলছে, কিছু জিনিসের দাম বাড়লেও এক সপ্তাহে দাম কমেছে সাতটি নিত্যপণ্যের। এর মধ্যে রয়েছে মসুর ডাল, মুগ ডাল, আদা, এলাচি, খাসির মাংস, দেশি মুরগি ও চিনি। এসব পণ্যের দাম আগেই অনেক চড়া ছিল। ফলে সামান্য কমলেও তাতে স্বস্তি ফেরেনি।

ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা কাটাতে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীতে ডিমের প্রধান দুটি পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।

এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও সারা দেশেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তেজগাঁও বাজারে এ কার্যক্রম আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে বলে জানা গেছে।

উপরে