সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ
দীর্ঘ একযুগের বেশি সময়ের আন্দোলনের পর অবশেষে সুখবর পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী কোটি শিক্ষার্থী। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরুষ আবেদনকারীদের বয়সসীমা হবে ৩৫ ও নারীদের ক্ষেত্রে এই সীমা করা হচ্ছে ৩৭। এমন সুপারিশ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রতিবেদন দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি। যার ঘোষণা আসতে পারে আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান, সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গেল ৩০ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয় পর্যালোচনা কমিটি। এক সপ্তাহ পর সরকারের কাছে দেয়া কমিটির সুপারিশ বলছে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর, নারীরা পাবেন আরও দুবছর বেশি, ৩৭ বছর।
প্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া দ্য মিরর এশিয়াকে বলেন, দেশে স্থায়ীভাবে এভাবে বয়স বাড়লে বেকারের সংখ্যা বাড়াবে। এজন্য বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া অবস্থায় যাতে ছাত্ররা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা সরকার করতে পারে।
অবশ্য, হেরফের হবে না অবসরের জন্য নির্ধারিত ৫৯ বছর বয়স। চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন, শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদ্যমান কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমলে নিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। তুলনা করা হয়েছে উন্নত দেশের পদ্ধতির সাথে দেশের পদ্ধতিও। আসছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে আসবে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার আবেদনকারীরা এই সুযোগ পান ৩২ বছর পর্যন্ত। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আর, ১৬২টি দেশে এই বয়সসীমা ৩৫ এর ওপরে। যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ উন্নত অনেক দেশেই নেই বয়সের কোনো সীমা।