খুলেছে পোশাক কারখানা, কর্মব্যস্ত শিল্পাঞ্চল
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা খুলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। শিল্প শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ফিরছেন।
গার্মেন্টস মালিকদের এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ। চিঠিতে বলা হয়েছে, কারখানা খোলা এবং ছুটির সময়ে গেট বা কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর জন্য সময় নির্ধারণ করার ওপর জোর দেওয়া।
শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের পথের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা লাইন করতে হবে। কর্মঘণ্টা বিভিন্ন শিফটে নির্ধারণ করতে হবে।
একই সাথে কাজের স্থানগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে হবে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ সম্পর্কে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য ১৫টি শর্ত মানতে হবে কারখানা মালিকদের।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
শ্রমিকদের অভয় দিয়ে সংগঠনটি বলছে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি তাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। এজন্য শনিবার বিধিনিষেধের নবম দিনে রাজধানীর প্রবেশমুখে জনস্রোত দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ায় তাদের ফিরতে হয়েছে। সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, হিউম্যান হলার, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে তারা বাড়ি থেকে আসেন। কিন্তু ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের বাধায় অনেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় ঢোকেন। ফেরিগুলোতেও ছিল জনস্রোত।