ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৪৪

হারিছ-আনিসের ক্ষমায় আইনের লঙ্ঘন হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
হারিছ-আনিসের ক্ষমায় আইনের লঙ্ঘন হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও আনিস আহমেদকে যাবজ্জীবন সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

রাজধানীতে গতকাল বিকালে এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মগবাজারের ওয়ারলেস এলাকায় নজরুল শিক্ষালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৪০১ ধারায় আসামি হারিছ

ও আনিসের সাজা মওকুফ করার বিষয়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কিনা? স্পর্শকাতর বিষয়টি এতদিন কেন গোপন রাখা হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারার সব নিয়ম মেনেই দুই আসামিকে সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে যথাযথ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আসামিদের পক্ষ থেকে কে এই আবেদন করেছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ‘লুকোচুরি’ নেই দাবি করে তিনি বলেন, এটা নিছক কমিউনিকেশন গ্যাপ। এই ধারার বিষয়ে ইতিমধ্যেই আইনমন্ত্রী সহজ বিশ্লেষণ দিয়েছেন। সে জায়গা থেকে এ প্রশ্নের জবাব আপনারা আগেই পেয়েছেন। হারিছকে যদি ক্ষমাই করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেড আসামির তালিকায় তার নাম কেন এখনো দৃশ্যমান? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে পুলিশের ওয়েবসাইটে ওয়ান্টেড হিসেবে হারিছের নাম ও ছবি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। আলজাজিরার বিরুদ্ধে মামলা এখনো পুলিশের কাছে আসেনি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মামলা এলেই এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনের নতুন বিল্ডিংটা কিন্তু আমি আপনাদের কথামতো করে দিয়েছিলাম। পুরান বিল্ডিং ভেঙে নতুন বিল্ডিং করতে চেয়েছেন। সেটাও করে দেব। আমাদের দাবি কিন্তু আছে। সরকারের দাবি হচ্ছে আপনি ভালো রেজাল্ট করবেন এবং এখানে যেন সবাই শিক্ষার সুযোগ পায়। আমাদের সরকার কী চায়? আমরা যে দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলছি, আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এই ধারাটা অক্ষুণ্ন রাখে। তারা যেন শিক্ষা-দীক্ষা-জ্ঞানে তাদের প্রতিভা বিকাশ করে। তারা যেন দায়িত্ব নিতে পারে এবং উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখছি। আমাদের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে তারা যেন নেতৃত্ব দিতে পারে।

উপরে