‘গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা দিতে হলে সকলকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা দিতে হলে সকলকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে গ্রামে উন্নত নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। আমার গ্রাম আমার শহর- বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি আর কি কি প্রকল্প নিতে হবে গুচ্ছ কমিটি তা নির্ধারণ করবে। এর ফলে আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে কাজে গতি আসবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে সকল মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরনের মিল আছে সেগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রয়োজন। এই কমিটিগুলো ঘন ঘন সভা করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রকল্প গ্রহণ ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে এবং সিদ্ধান্তসমূহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির কাছে উপস্থাপন করবেন।
‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প কবে নাগাদ শেষ হবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর একক কোনো প্রকল্প নয়। গ্রামকে শহর করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে। সবগুলো প্রকল্পের সমন্বয় হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প। যেহেতু দেশের প্রতিটি গ্রাম এই প্রকল্পের অধীন তাই সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।
এসময় মন্ত্রী জানান, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫টি গ্রামকে পাইলটিং হিসেবে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একটি কারিগরি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে এবং তা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই গ্রামীন উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। তারই বাস্তব দর্শন হল আমার গ্রাম আমার শহর। বিভিন্ন উপ-কমিটি বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আমাদের ইতোমধ্যে দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে বাকি সময়ের মধ্যে আশা করি আমার গ্রাম আমার শহর উদ্যোগটি দৃশ্যমান হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, অতিরিক্ত সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছভিত্তিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।