ফের রিমান্ডে পাপিয়া
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুদকের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তিন দিনের রিমান্ডের জন্য সোমবার দুপুরে তাদের কাশেমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক শাহিন আরা মমতাজের তদন্ত দল।
আজ বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আসামিরা জ্ঞাত-আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে। আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীর সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্টের খাবার, রেস্টুরেন্টের মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন তিনি। যে টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত ৫ বছরে বাসা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।