করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া যাত্রী আনলে ফ্লাইট স্থগিত
করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া বিদেশ থেকে যাত্রী আনা এয়ারলাইনসকে বিভিন্ন মেয়াদে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত (সাসপেন্ড) রাখবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
রোববার এ বিষয়ে সতর্ক করে একটি নির্দেশনা জারি করেছে বেবিচক।
নির্দেশনায় কভিড সার্টিফিকেট ছাড়া যাত্রী আনলে কিংবা কভিড আক্রান্ত যাত্রী বহনে এয়ারলাইনসকে বিভিন্ন মেয়াদে ফ্লাইট স্থগিতের মতো শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্সের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কয়েকটি এয়ারলাইনস যাত্রীদের পিসিআর নির্ভর কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া যাত্রী বহন করছে। কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত যাত্রীও বহন করছে।
এতে বলা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কভিড মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বেবিচক সব এয়ারলাইনসকে আন্তর্জাতিক যাত্রী বহন সংক্রান্ত গত ৬ ডিসেম্বরের সার্কুলারটি মেনে চলার নির্দেশনা দিচ্ছে। তবে কোনো এয়ারলাইনস যদি এই নির্দেশনা না মানে তবে তাদের ফ্লাইট চলাচলে বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।
কভিড সার্টিফিকেট ছাড়া বা কভিড আক্রান্ত যাত্রী বহন করলে প্রথমবারের শাস্তি হিসেবে সেই এয়ারলাইনসের একটি শিডিউল ফ্লাইট স্থগিত করা হবে।
একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে তিনটি শিডিউল ফ্লাইট আর তৃতীয়বারে এক সপ্তাহের জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করা হবে।
এছাড়াও চতুর্থবার এই অপরাধ করলে এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট কমপক্ষে চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হবে।
আদেশটি রবিবার রাত থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ছয় যাত্রী বহন করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট।
একইদিন কভিড-১৯ আক্রান্ত এক রোগীকে বহন করে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনায় এয়ার এশিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার একই কারণে মালদিভিয়ান এয়ারলাইনসকে দুই লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক ঘোষণা করে, ৫ ডিসেম্বর (শনিবার) থেকে যারাই বাংলাদেশে আসতে চাইবে, তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময় থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং অবতরণ করা প্রতিটি এয়ারলাইনসকেই বেবিচক নির্দেশনা দিয়েছে, কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যেন কোনো যাত্রীকে বোর্ডিং পাস না দেওয়া হয়।
সম্প্রতি করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গত নভেম্বরে ৪ হাজারেরও বেশি যাত্রী কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে এসেছেন যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দেশে আসা যাত্রীদের করোনা সনদ থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।