আওয়ামী লীগকে আরো পরিচ্ছন্ন, স্মার্ট করতে চাই : সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আরো পরিচ্ছন্ন, স্মার্টার দলে রূপান্তরিত করতে চাই। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন। ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য দলের পদ পদবি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের পদ পদবি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অপরাধ আর অবৈধ আয়ের উৎস সম্প্রসারণ করতে দেওয়া হবে না। চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজিদের কোনো অবস্থাতেই দলে আনা যাবে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চায় দেশের যেকোনো দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিসমূহ ঘোষণা শুরু হয়েছে। ঘোষিত কমিটির বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে কিংবা কারো কোনো বক্তব্য থাকলে অথবা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপীলের সুযোগ রয়েছে। তাই যেকোনো কমিটির বিষয়ে কোনো অভিযোগ দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে জমা দেওয়া যাবে।
সরকার নাকি দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে সম্ভাবনার সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, কিন্তু ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আপনারাই দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলেন, ৩ নভেম্বর কারাগারের নিরাপদ প্রকোষ্টকে বধ্যভূমিতে রূপান্তর করেছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আরেক বধ্যভূমিতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার মাধ্যমে। ভাস্কর্য ইসুতে সরকারের নাকি রাজনৈতিক উদেশ্য আছে, বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এ কথা বলা মানে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সমর্থন করা। ভাস্কর্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বিএনপির, সরকারের নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনের সাহসী মিছিলের নাম আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু অর্জন, তা অর্জিত হয়েছে জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
জায়পরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোলায়মান আলী।