ভাস্কর্য ধর্মীয় রীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রামের ইতিহাস ও চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে সমুজ্জল রাখতে দেশজুড়ে ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি উদ্যোগ নেয়া হয়। জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করে আসছে কয়েকটি ইসলামী সংগঠন।
সাম্প্রতিক সময়ে এটি হয়ে উঠেছে অন্যতম আলোচিত বিষয়। তবে ভাস্কর্যকে শিল্প-সংস্কৃতি উল্লেখ করে, তা ইসলামী কায়দার সাথে সাংঘর্ষিক নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন তারা। পৃথিবীর প্রতিটি জাতিই তার ইতিহাস ঐতিহ্য ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিশ্বের বুকে চিরস্বরনীয় করে রাখতে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। স্ব স্ব দেশের জাতীয় বীর ও কিংবদন্তীর কথা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে লিপিবদ্ধ করা হয়ছে সেসব ভাস্কর্যের মাধ্যমে।
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস স্মরণীয় ভাস্কর্য। প্রাচীন বাংলায়ও ভাস্কর্য সংস্কৃতির প্রচলন ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু বাগারম্বরটা অন্য জায়গায়।
ধর্মীয় গাম্ভীর্যকে পুঁজি করে দেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে। সম্প্রতি কিছু মহলের উস্কানিতে কুষ্টিয়ার নির্মিতব্য ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষের শক্তি রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য ভাস্কর্যের সাথে ধর্মীয় রীতি সাথে সাংঘর্ষিক দেখিয়ে মতবাদ দাঁড় করাতে চায়, বলে জানালেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরও। ভাস্কর্যের পক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।দেশের গৌরবময় অধ্যায়গুলোকে প্রজন্মের পর প্রজন্মে আলোকিত রাখতে ভাস্কর্য বিরাট গুরুত্ব বহন করে। জাতীয় ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকে দেশের চেতনার মুলমন্ত্র।