ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:২৭

ভাস্কর্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওলামারা

অনলাইন ডেস্ক
ভাস্কর্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওলামারা

ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশে চলমান অস্থিরতা ও জাতীয় সঙ্কট বিষয়ে আলেম-ওলামাদের করণীয় নির্ধারণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় শীর্ষ আলেমদের নিয়ে এ বৈঠক হয়।

জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর প্রচার সেলের সমন্বয়ক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান বাংলানিউজকে বলেন, আজকের বৈঠকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সব মত ও চিন্তার ওলামারা এক টেবিলে বসেছিলেন। বৈঠক থেকে খুবই উপযুক্ত, বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ এসেছে।

তিনি বলেন, শীর্ষ ওলামাদের বৈঠ‌কে ২টি সিদ্ধান্ত এবং ৫টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত দুটি হলো—আল্লামা মাহমুদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর কা‌ছে দে‌শের ওলামা‌য়ে কেরামের পক্ষ থেকে এক‌টি চি‌ঠি পাঠা‌বেন। যাতে ভাস্কর্য বিষ‌য়ে ওলামাদের বক্তব্য ও আহ্বান তু‌লে ধরা হবে। দ্বিতীয়ত, আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নে‌তৃ‌ত্বে উলামা‌য়ে কেরা‌মের এক‌টি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রে চলমান সংকট নিরস‌নে নি‌জে‌দের দাবি ও অবস্থান তুলে ধরবেন।

বৈঠকে সরকা‌রের প্রতি যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে তা হলো— 

এক. জী‌বিত বা মৃ‌তের মানবাকৃ‌তির মূ‌র্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম। তাই এ‌ হেন কাজ ক‌রে কো‌টি মুসলমান‌দের ক‌লিজায় আঘাত না দি‌য়ে বিকল্প চিন্তা কর‌তে সরকা‌রের প্রতি প্রস্তাব। 

দুই. অনলাইন ও অফলাইনে নবীর অবমাননা বিষ‌য়ে প্রশাস‌নের কঠোর নজরদারি ও ক‌ঠিন শা‌স্তি নি‌শ্চিত করার আহ্বান। 

তিন. ধোলাইপা‌ড়ে বন্ধ করে দেওয়া মস‌জিদ চালু করতে হবে এবং বিগত ঈমানি আন্দোল‌নে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মু‌ক্তি দিতে হবে। 

চার. শব্দ দূষ‌ণের মনগড়া অজুহা‌তে মাহ‌ফিল নি‌ষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। 

পাঁচ. উম্ম‌তের দ্বিন ঈমান, দেশ ও জা‌তির রাহবার ওলামাদের সম্প‌র্কে কটূ‌ক্তি ও বি‌ষোদগার বন্ধ করতে হবে।

বৈঠকে শীর্ষ আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মুফতি মনসুরুল হক, মুফতি মুবারকুল্লাহ, মুফতি রুহুল আমীন, মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি জাফর আহমদ, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি ফয়জুল করিম, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা নাজমুল হাসান, মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া প্রমুখ।

 

উপরে