ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৪৫

আজ পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি

অনলাইন ডেস্ক
আজ পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি

আজ পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পুর্তি হচ্ছে। প্রায় দু’যুগেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামের পাহাড়ে চলে আসা সংঘাত বন্ধে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তখনকার সরকার ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

চুক্তি সাক্ষরের পর খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে তখনকার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শান্তিবাহিনী সন্তু লারমা তার প্রচুর সৈন্য ও অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। সরকার তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ প্রদান করে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

তবে শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পার হলেও সেখানে এখনও শান্তির দেখা মিলেনি। স্থানীয় সংগঠনগুলোর কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে প্রায়য় রক্তক্ষয়ীও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে পাহাড়ে। সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে শতভাগ আন্তরিক হলেও এক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের দুটি সংগঠন। আর সকল ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে একটি সম্প্রদায়।

২৩ বছরের এই বিশাল সময়ে দুরত্ব বেড়েছে বিশ্বাস ও আস্থার। নতুন নতুন আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়েছে এই সময়ে। তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে এখনও কেঁপে ওঠে পাহাড়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রাণ হারায় নিরীহ মানুষ।

জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সাত বছরে পাহাড়ে বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৩৭৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছে ৯৭৪ জন। ৫৩৭ জন অপহৃত হলেও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ২১৭ বার।

এছাড়া উপজাতি সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছেন ১৫৯৬ জন। ৬২২ গোলাবারুদ এবং ১০ হাজার ১০১টি অ্যামো উদ্ধার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

 

 

উপরে