হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৬ রোগী
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৬ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ৬৮ রোগী ঢাকায় এবং বাকিরা রাজধানীর বাইরে। রবিবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরে পাঁচ জন রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬২ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে এখন পর্যন্ত ছয়টি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। আইইডিসিআর চারটি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে তিনটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১৭৯ জন মারা যান। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু ছড়ায়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া, মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব হতে পারে।