ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৩৩

রাজনীতিকদের চেয়ে বেশি অর্থপাচার করে আমলারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
রাজনীতিকদের চেয়ে বেশি অর্থপাচার করে আমলারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাজনীতিবিদরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন সরকারি কর্মচারীরা। গোপনে কানাডার টরোন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয় তাতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে। বিদেশে টাকা পাচার করছে এমন অনেক লোক আছে এবং অনেকে তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে রেখেছেন।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ফ্লাগশিপ প্রোগ্রাম ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।   পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে এবং এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চার জন। এছাড়া কিছু আছেন আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ীরা। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। শুধু কানাডা নয়, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন।

বিভিন্ন মিডিয়ায় যে তথ্য বের হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, আসলে তা কতো তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। তবে আমার ধারণা প্রচার যেভাবে হচ্ছে পাচার তত নয়। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার প্রশ্নে বিদেশি সরকারগুলোরও দায় রয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী মোমেন বলেন, যেমন, সুইজারল্যান্ডে কে ব্যাংকে টাকা রাখলো, সেই তথ্য আমাদের দেয় না। তারা ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে, কিন্তু যদি বলি কার কার টাকা আছে, সেই তথ্য দাও, তখন তারা দেয় না। এ ইস্যুতে তারা ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলেই মনে করি আমি।

ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, পররাষ্ট্রনীতি এবং এ সংক্রান্ত সম-সাময়িক ঘটনা নিয়ে ডিআরইউ’র মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন।

সেখানে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচন এবং ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অধিকারী জো বাইডেনের বিজয়ে রীতিমত উচ্ছাস প্রকাশ করেন দীর্ঘ সময় জাতিসংঘে দায়িত্বপালনকারী মন্ত্রী ড. মোমেন। প্রায় সোয়া ঘণ্টার ওই আলোচনায় প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে বিবাদমান নানা ইস্যু, বিশেষত; বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি না হওয়া, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফেরানো এবং তাদের দণ্ড কার্যকর করতে সরকারের প্রয়াসসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেন তিনি।

 

উপরে