ফ্রান্সের যেসব পণ্য বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়
ফ্রান্সে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ফরাসী পণ্য বর্জনে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts) ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ফরাসী পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে কুয়েত, ইরাক, তুরস্কসহ আরব দেশগুলো। এ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরাও।
আন্দোলনকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটার পোস্টে ফ্রান্সের বিভিন্ন কোম্পানির একটি তালিকা প্রকাশ করছেন। যেখানে ফ্রান্সের মালিকানাধীনা কোম্পানিগুলোর লোগো ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশই নানা পণ্য আমদানি-রফতানি করে থাকে। যেখানে বাণিজ্য হয় প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের। সেই সপ্তদশ শতকে প্রথম বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন ফরাসিরা। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
ফ্রান্সে গার্মেন্টস, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা থাকায় বাংলাদেশ এগুলো রফতানি করে আসছে। বিপরীতে ফ্রান্স এদেশে রফতানি করে রাসায়নিক, সুগন্ধি, প্রসাধনসামগ্রী, ফার্মাসিটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক পণ্য।
বাংলাদেশে ফরাসী ব্র্যান্ডের খুব জনপ্রিয় ৬টি পণ্য হলো লাফার্জ সিমেন্ট, টোটাল গ্যাস সিলিন্ডার, বিক রেজর, কসমেটিকস সৌন্দর্যবর্ধক প্রতিষ্ঠান গার্নিয়ার ও লরিয়েল এবং মেডিসিন প্রোডাক্ট সানোফি। জনপ্রিয় এই ৬টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের পন্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।
কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর নানা ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই হ্যাশ ট্যাগের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন এসব ছবি ও ভিডিও।
ফ্রান্সের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেয়ালে শার্লি এবদোর সেই বিতর্কিত ১২টি কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেশটির সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ফ্রান্সের কয়েকটি ভবনের সামনে এবং সরকারের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে সম্পৃক্ত করা এবং নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অপমানজনক প্রচারণার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।
ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কতিপয় ফরাসি কর্মকর্তা। বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্থাটি ফ্রান্সকে তার বৈষম্যমূলক নীতিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।