ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ১০:২১

মেজর সিনহা হত্যা মামলার অগ্রগতি ইতিবাচক: র‌্যাব ডিজি

অনলাইন ডেস্ক
মেজর সিনহা হত্যা মামলার অগ্রগতি ইতিবাচক: র‌্যাব ডিজি

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। 

শুক্রবার রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শন ও র‍্যাবের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আবদুল্লাহ আল মামুন এ কথা জানান।  এসময় মামলা নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার (সিনহা হত্যাকাণ্ড) নিষ্পত্তি হবে।  মামলার তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি আছে।  তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা সমীচীন হবে না।

এর আগে রমনা কালী মন্দির পরিদর্শনকালে নিজের বক্তব্যে দুর্গাপূজা আয়োজনের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে র‍্যাব ডিজি বলেন, এই বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যে যেখানে রয়েছেন, আমরা সবাই নিজ নিজ আচার-অনুষ্ঠান ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। তবে বিশেষ করে সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা পালন করে থাকি। এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেকেই ঘুরতে আসেন, উদযাপন করেন। শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলেই নয়, দুর্গাপূজায় অনেকেই আনন্দ করেন।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এরপরও আমরা অনেক কিছু উদযাপন করেছি। এর আগে আশুরা উদযাপিত হয়েছে। এখন বিয়ের বা সামাজিক অনুষ্ঠানও সীমিত পরিসরে চলছে। এখন চলছে দুর্গাপূজা। এবার রমনা কালী মন্দির দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপন কমিটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যে তারা এক লাখ মাস্ক বিতরণ করছেন সুরক্ষার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আরো যেসব পূজামণ্ডপ রয়েছে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব সুরক্ষা নীতি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। আগামী বছর নিশ্চয়ই আমরা করোনাকে জয় করবো। তবে এজন্য আমাদেরকে সবাইকে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা নীতি। হয়তো করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হবে। এসবের মধ্য দিয়ে আমরা আবারও ফিরে যাব পূর্বের জীবনে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত গুলি করে হত্যা করেন সিনহাকে।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন (পরে বরখাস্ত) ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। আসামিদের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী, এপিবিএনের তিন সদস্য ও আরেক কনস্টেবলসহ সাতজন সহযোগী আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

মামলাটির তদন্ত করছে র‌্যাব। তদন্তকারীরা পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রিমান্ড শেষে এপিবিএনের তিন সদস্য এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই সঙ্গে তিন বেসামরিক ব্যক্তিও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ জবানবন্দি দেননি।

 

 

উপরে