শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু আজ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরব্যাপী অপেক্ষার পালা শেষ। মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। ধূপ-ধুনুচি, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে সায়ংকালে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন দেবী দুর্গা। মণ্ডপ আর মন্দিরগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে ভক্তদের আরাধনায়।
করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের বাধ্যবাধকতায় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা দর্শনের সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুরের মধ্যে দুর্গা পূজার মূল আচার-অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা আরতির পর পূজা মণ্ডপ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে দেশের সব মণ্ডপের আয়োজকদের।
গতকাল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘর থেকে বের হলেই যেন মাস্ক পরে সবাই। আমরা সেই সতর্কবার্তা অনুসরণ করছি।
নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, আইইডিসিআর, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সবাই যখন করোনাভাইরাসের নতুন ওয়েভ নিয়ে আতঙ্কের কথা বলছেন, তখন আমরা পূজার আয়োজন সঙ্কুচিত করছি। আমরা বলছি, সন্ধ্যা আরতির পরই আমরা মন্দির বন্ধ করে দেব। এবার আমরা সাত্ত্বিকমতে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছি। উৎসবের আগে তো মানুষের জীবন।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন, দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। পরদিন শুক্রবার সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৬ অক্টোবর সোমবার মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এবছর সারাদেশে তিন হাজার ২১৩টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, যা গতবারের তুলনায় এক হাজার ১৮৫টি কম। এছাড়া ঢাকা মহানগরে এবার ম-পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩২টি, যা গত বছর ছিল ২৩৮টি। মহামারীর মধ্যে এ বছর সবাই যেন যার যার অবস্থানে থেকে ঘরে বসেই পূজা অর্চনা ও আরাধনা করতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্মল চ্যাটার্জি জানান, দশমীর দিন শোভাযাত্রা না করে প্রতিটি মণ্ডপ থেকে সরাসরি নিজ নিজ ঘাটে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবার। মহামারীর কারণে অষ্টমী তিথিতে এবার রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে কুমারী পূজা হবে না। মণ্ডপে প্রসাদ বিতরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।