ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:৫১

বর্জ্য সমস্যাকে আরো গুরুতর করছে মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক
বর্জ্য সমস্যাকে আরো গুরুতর করছে মাস্ক

মহামারীর সময়ে মাস্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এর কোনো কোনোটা কেবল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং কেবল একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। যার অর্থ খুবই পরিষ্কার। প্রতিদিন লাখ লাখ টন অতিরিক্ত বর্জ্য ভাগাড়ে যাচ্ছে।

মাস্ক হয়তো করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি থামাতে সাহায্য করে। কিন্তু এর বিপরীত দিকও আছে। একটি হিসাব মতে, যদি যুক্তরাজ্যের প্রতিজন মানুষ বছরের প্রতিদিন একটি করে একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরে তবে তা ৬৬ হাজার টন দূষিত বর্জ্য এবং ৫৭ হাজার টন প্লাস্টিক মোড়ক উৎপাদন করবে। প্রমাণ বলছে, মাস্ক জমিতে ও জলপথে ক্ষতিকারক মাইক্রোপ্লাস্টিক ফাইবারের উৎসও হতে পারে।

তাই কার্যকারিতা ঠিক রেখেও পরিবেশে ক্ষতির পরিমাণ ন্যূনতম করার জন্য কীভাবে মাস্ক ডিজাইন করা যায়, সেটা দেখা যেতে পারে এবং বেছে নেয়া যেতে পারে আপনার জন্য সেরা মাস্কটিও।

চীন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মাস্ক প্রস্তুতকারী দেশ। যাদের এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক মাস্ক উৎপাদন ১১৬ মিলিয়ন ইউনিটে গিয়ে ঠেকেছিল। যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মহামারীর সময়ে মাস্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এর কোনো কোনোটা কেবল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং কেবল একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। যার অর্থ খুবই পরিষ্কার। প্রতিদিন লাখ লাখ টন অতিরিক্ত বর্জ্য ভাগাড়ে যাচ্ছে।

মাস্ক হয়তো করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি থামাতে সাহায্য করে। কিন্তু এর বিপরীত দিকও আছে। একটি হিসাব মতে, যদি যুক্তরাজ্যের প্রতিজন মানুষ বছরের প্রতিদিন একটি করে একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরে তবে তা ৬৬ হাজার টন দূষিত বর্জ্য এবং ৫৭ হাজার টন প্লাস্টিক মোড়ক উৎপাদন করবে। প্রমাণ বলছে, মাস্ক জমিতে ও জলপথে ক্ষতিকারক মাইক্রোপ্লাস্টিক ফাইবারের উৎসও হতে পারে।

তাই কার্যকারিতা ঠিক রেখেও পরিবেশে ক্ষতির পরিমাণ ন্যূনতম করার জন্য কীভাবে মাস্ক ডিজাইন করা যায়, সেটা দেখা যেতে পারে এবং বেছে নেয়া যেতে পারে আপনার জন্য সেরা মাস্কটিও।

চীন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মাস্ক প্রস্তুতকারী দেশ। যাদের এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক মাস্ক উৎপাদন ১১৬ মিলিয়ন ইউনিটে গিয়ে ঠেকেছিল। যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

চক্রাকার চিন্তা পদ্ধতি: এ সমস্যার সমাধানের একটি উপায় হতে পারে ‘সার্কুলার ডিজাইন’ বা চক্রাকার গঠনের নীতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। এ পদ্ধতি পণ্যের ডিজাইন, পণ্য ও উপাদানের ব্যবহার অব্যাহত রেখে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতির পুনরুত্থানের মাধ্যমে বর্জ্য ও দূষণ হ্রাস করতে চায়।

যখন ফেস মাস্কের বিষয়টি সামনে আসে তিন ধরনের মাস্ক সাধারণত দেখা। সেগুলো হচ্ছে কাপড়, সার্জিক্যাল ও এন-৯৫। এন-৯৫ উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে। যেখানে তারা ৯৫ শতাংশ বাতাসে ভাসমান কণাকে আটকাতে পারে। কাপড়ের মাস্ককে ডিজাইন করা হয় এমনভাবে যেন এটি একবারের বেশি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্কের উদ্দেশ্য হচ্ছে একবার ব্যবহার করা।

ফেস মাস্কগুলোতে এক বা একাধিক স্তর থাকে। প্রতিটির কার্যকারিতাও আলাদা। একটি থাকে বাইরের স্তর। যা পানির মতো তরলকে দূরে রাখার জন্য গঠন করা হয়। এরপর থাকে ভেতরের স্তর। যা কিনা আর্দ্রতাকে শুষে নেয়। পাশাপাশি স্বস্তি ও ঠিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার অনুমোদন দেয়। আরেকটি থাকে অ-শোষণকারী মাঝারি স্তর। যা কিনা কণাকে ফিল্টার করে। প্রতিটি ধরনের মাস্ক বিভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি হয় এবং বিভিন্ন সেটিংসে ব্যবহার করা হয়। 

এন-৯৫ মাস্ক: এটা গঠন করা হয় এমনভাবে যেন, এর বাহক বাতাসে ভাসমান কণা থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা লাভ করে এবং এটি ব্যাপকভাবে পরেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ মাস্কটি ডিজাইন করা হয় মুখে ফিট হয়ে আটকে থাকার জন্য। এগুলো কেবল একবারই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেসব উপদান নিয়ে এন-৯৫ সমন্বিত তা হলো: একটি স্ট্যাপ (পলিসোস্প্রিন), স্ট্যাপলস (ইস্পাত), নাকের ফোম (পলিউরেথেন), নাকে ক্লিপ (অ্যালুমিনিয়াম), ফিল্টার (পলিপ্রোপাইলিন), ভালব ডায়াফ্রা (পলিসোপ্রিন)।

সার্জিক্যাল মাস্ক: এটি ডিজাইন করা হয় যিনি পরেছেন তার কাছ থেকে জীবাণুমুক্ত পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। এটি কাজ করে ড্রপলেট বা অ্যারোসলকে বাধাদানকারী হিসেবে। সাধারণত যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একবার ব্যবহার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি অ-বোনা কাপড়ের দুটি স্তরের মধ্যে পলিপ্রোফিলিনকে সমন্বিত করে।

কাপড়ের মাস্ক: এ ধরনের মাস্ক সাধারণ মানুষ সচরাচর পরে থাকে। এর কোনো কোনাটি পুরনো কাপড় দ্বারা ঘরে তৈরি। এগুলো হয়তো পুরোপুরিভাবেই পুনরায় ব্যবহার করা যায় কিংবা প্রতিস্থাপনযোগ্য ফিল্টারসহ আংশিকভাবে পুনর্ব্যবহার করার মতো, যা অবশ্যই নষ্ট করে ফেলতে হয়।

এ মাস্কগুলো সাধারণত পলিস্টার বা পলিপ্রোফিলিনের বাইরের স্তর সমন্বিত থাকে। আর ভেতরের স্তর ডিজাইন করা হয় শ্বাসপ্রশ্বাস এবং স্বতঃস্ফূর্ততার দিক বিবেচনায় রেখে। যা কটন বা কটন-পলিস্টারের একটি মিশ্রণ।

গবেষণা বলছে, ফিল্টারিংয়ের দিক থেকে কাপড়ের মাস্ক মেডিকেল মাস্কের চেয়ে কম কার্যকর হয়। তবে সঠিকভাবে ফিট হলে এবং ডিজাইন করা হলে তা সম্ভবত কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্য পরামর্শও দেয়া আছে।

স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ডিজাইন করা: মাস্ক পুনরায় ডিজাইন করার ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখা জরুরি যে সেগুলো যেন অবশ্যই এর বাহককে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা দেয়। মেডিকেল সেটিংয়ে মাস্কের ডিজাইন পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিক মানদণ্ড স্পর্শ করতে হবে। যেমন বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সক্ষমতা থাকতে হবে। এগুলো মাথায় রেখেই পরিবেশের ক্ষতি হ্রাস করতে পারে এমন মাস্ক বিভিন্নভাবে তৈরি করা যেতে পারে।

আরো বেশি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য অংশ ডিজাইন করা: প্রমাণগুলো বলছে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্কের মতোই কাজ করতে পারে, কিন্তু কোনো ধরনের সম্পর্কিত বর্জ্য ছাড়াই। যুক্তরাজ্যে সম্পন্ন হওয়া একটি জীবনচক্রের মূল্যায়নে দেখা গেছে, যে মাস্কগুলো ধোয়া যায় এবং আবার ব্যবহার করা যায় তা পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভালো। প্রতিস্থাপনযোগ্য ফিল্টারের সঙ্গে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মাস্ক হচ্ছে দ্বিতীয় সেরা বিকল্প।

এ গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মাস্ক পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেশিন দ্বারা ধোয়া সাধারণ ধোয়ার চেয়ে পরিবেশের জন্য অধিক কার্যকর।

সহজেই ধ্বংস করা যায় এমন মাস্ক তৈরি করা: যেখানে ঝুঁকি বেশি, যেমন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে মাস্ক পুনরায় পরা সম্ভব নাও হতে পারে। যার অর্থ এগুলোকে অবশ্যই ধ্বংস করতে হবে। মেডিকেল সেটিংসে ধ্বংস করার ব্যবস্থা থাকে, যা সাধারণত যুক্ত থাকে পৃথককরণ ও জ্বলন পদ্ধতির সঙ্গে।

কিন্তু সাধারণ মানুষকে অবশ্যই নিজেদের মাস্ক নিজেদেরই ধ্বংস বা নষ্ট করতে হবে। কারণ মাস্ক সাধারণত বিভিন্ন উপাদান দ্বারা সমন্বিত থাকে, যা খুবই জটিল। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাস্ককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এসব জটিলতার মানে হচ্ছে মাস্কের শেষ ঠিকানা হবে ভাগাড়ে। মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা সহজ হবে, যদি তা স্বল্প উপাদান দ্বারা তৈরি হয় এবং বিচ্ছিন্ন করা সহজ হয়।

বায়োগ্রেডেবল উপাদান ব্যবহার করা: একবার ব্যবহার করা পণ্যে বায়োগ্রেডেবল উপাদানের সঙ্গে সিনথেটিক স্থাপন করা চক্রাকার ডিজাইনের প্রথম ধাপ হবে। আবাকা গাছ, যা অনেক কলাগাছ গোত্রীয় তা সম্ভাব্য বিকল্প প্রস্তাব করতে পারে। গবেষণা বলছে, এর পাতার আঁশ থেকে তৈরি মাস্ক প্রচলিত মাস্ক থেকে অধিকতর কার্যকর।

এ সমস্যার সমাধানের একটি উপায় হতে পারে ‘সার্কুলার ডিজাইন’ বা চক্রাকার গঠনের নীতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। এ পদ্ধতি পণ্যের ডিজাইন, পণ্য ও উপাদানের ব্যবহার অব্যাহত রেখে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতির পুনরুত্থানের মাধ্যমে বর্জ্য ও দূষণ হ্রাস করতে চায়।

যখন ফেস মাস্কের বিষয়টি সামনে আসে তিন ধরনের মাস্ক সাধারণত দেখা। সেগুলো হচ্ছে কাপড়, সার্জিক্যাল ও এন-৯৫। এন-৯৫ উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে। যেখানে তারা ৯৫ শতাংশ বাতাসে ভাসমান কণাকে আটকাতে পারে। কাপড়ের মাস্ককে ডিজাইন করা হয় এমনভাবে যেন এটি একবারের বেশি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্কের উদ্দেশ্য হচ্ছে একবার ব্যবহার করা।

ফেস মাস্কগুলোতে এক বা একাধিক স্তর থাকে। প্রতিটির কার্যকারিতাও আলাদা। একটি থাকে বাইরের স্তর। যা পানির মতো তরলকে দূরে রাখার জন্য গঠন করা হয়। এরপর থাকে ভেতরের স্তর। যা কিনা আর্দ্রতাকে শুষে নেয়। পাশাপাশি স্বস্তি ও ঠিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার অনুমোদন দেয়। আরেকটি থাকে অ-শোষণকারী মাঝারি স্তর। যা কিনা কণাকে ফিল্টার করে। প্রতিটি ধরনের মাস্ক বিভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি হয় এবং বিভিন্ন সেটিংসে ব্যবহার করা হয়। 

এন-৯৫ মাস্ক: এটা গঠন করা হয় এমনভাবে যেন, এর বাহক বাতাসে ভাসমান কণা থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা লাভ করে এবং এটি ব্যাপকভাবে পরেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ মাস্কটি ডিজাইন করা হয় মুখে ফিট হয়ে আটকে থাকার জন্য। এগুলো কেবল একবারই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেসব উপদান নিয়ে এন-৯৫ সমন্বিত তা হলো: একটি স্ট্যাপ (পলিসোস্প্রিন), স্ট্যাপলস (ইস্পাত), নাকের ফোম (পলিউরেথেন), নাকে ক্লিপ (অ্যালুমিনিয়াম), ফিল্টার (পলিপ্রোপাইলিন), ভালব ডায়াফ্রা (পলিসোপ্রিন)।

সার্জিক্যাল মাস্ক: এটি ডিজাইন করা হয় যিনি পরেছেন তার কাছ থেকে জীবাণুমুক্ত পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। এটি কাজ করে ড্রপলেট বা অ্যারোসলকে বাধাদানকারী হিসেবে। সাধারণত যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একবার ব্যবহার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি অ-বোনা কাপড়ের দুটি স্তরের মধ্যে পলিপ্রোফিলিনকে সমন্বিত করে।

কাপড়ের মাস্ক: এ ধরনের মাস্ক সাধারণ মানুষ সচরাচর পরে থাকে। এর কোনো কোনাটি পুরনো কাপড় দ্বারা ঘরে তৈরি। এগুলো হয়তো পুরোপুরিভাবেই পুনরায় ব্যবহার করা যায় কিংবা প্রতিস্থাপনযোগ্য ফিল্টারসহ আংশিকভাবে পুনর্ব্যবহার করার মতো, যা অবশ্যই নষ্ট করে ফেলতে হয়।

এ মাস্কগুলো সাধারণত পলিস্টার বা পলিপ্রোফিলিনের বাইরের স্তর সমন্বিত থাকে। আর ভেতরের স্তর ডিজাইন করা হয় শ্বাসপ্রশ্বাস এবং স্বতঃস্ফূর্ততার দিক বিবেচনায় রেখে। যা কটন বা কটন-পলিস্টারের একটি মিশ্রণ।

গবেষণা বলছে, ফিল্টারিংয়ের দিক থেকে কাপড়ের মাস্ক মেডিকেল মাস্কের চেয়ে কম কার্যকর হয়। তবে সঠিকভাবে ফিট হলে এবং ডিজাইন করা হলে তা সম্ভবত কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্য পরামর্শও দেয়া আছে।

স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ডিজাইন করা: মাস্ক পুনরায় ডিজাইন করার ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখা জরুরি যে সেগুলো যেন অবশ্যই এর বাহককে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা দেয়। মেডিকেল সেটিংয়ে মাস্কের ডিজাইন পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিক মানদণ্ড স্পর্শ করতে হবে। যেমন বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সক্ষমতা থাকতে হবে। এগুলো মাথায় রেখেই পরিবেশের ক্ষতি হ্রাস করতে পারে এমন মাস্ক বিভিন্নভাবে তৈরি করা যেতে পারে।

আরো বেশি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য অংশ ডিজাইন করা: প্রমাণগুলো বলছে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্কের মতোই কাজ করতে পারে, কিন্তু কোনো ধরনের সম্পর্কিত বর্জ্য ছাড়াই। যুক্তরাজ্যে সম্পন্ন হওয়া একটি জীবনচক্রের মূল্যায়নে দেখা গেছে, যে মাস্কগুলো ধোয়া যায় এবং আবার ব্যবহার করা যায় তা পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভালো। প্রতিস্থাপনযোগ্য ফিল্টারের সঙ্গে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মাস্ক হচ্ছে দ্বিতীয় সেরা বিকল্প।

এ গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মাস্ক পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেশিন দ্বারা ধোয়া সাধারণ ধোয়ার চেয়ে পরিবেশের জন্য অধিক কার্যকর।

সহজেই ধ্বংস করা যায় এমন মাস্ক তৈরি করা: যেখানে ঝুঁকি বেশি, যেমন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে মাস্ক পুনরায় পরা সম্ভব নাও হতে পারে। যার অর্থ এগুলোকে অবশ্যই ধ্বংস করতে হবে। মেডিকেল সেটিংসে ধ্বংস করার ব্যবস্থা থাকে, যা সাধারণত যুক্ত থাকে পৃথককরণ ও জ্বলন পদ্ধতির সঙ্গে।

কিন্তু সাধারণ মানুষকে অবশ্যই নিজেদের মাস্ক নিজেদেরই ধ্বংস বা নষ্ট করতে হবে। কারণ মাস্ক সাধারণত বিভিন্ন উপাদান দ্বারা সমন্বিত থাকে, যা খুবই জটিল। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাস্ককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এসব জটিলতার মানে হচ্ছে মাস্কের শেষ ঠিকানা হবে ভাগাড়ে। মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা সহজ হবে, যদি তা স্বল্প উপাদান দ্বারা তৈরি হয় এবং বিচ্ছিন্ন করা সহজ হয়।

বায়োগ্রেডেবল উপাদান ব্যবহার করা: একবার ব্যবহার করা পণ্যে বায়োগ্রেডেবল উপাদানের সঙ্গে সিনথেটিক স্থাপন করা চক্রাকার ডিজাইনের প্রথম ধাপ হবে। আবাকা গাছ, যা অনেক কলাগাছ গোত্রীয় তা সম্ভাব্য বিকল্প প্রস্তাব করতে পারে। গবেষণা বলছে, এর পাতার আঁশ থেকে তৈরি মাস্ক প্রচলিত মাস্ক থেকে অধিকতর কার্যকর।

উপরে