ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে : স্পিকার
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণ একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে ইউএনএফপিএর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্র্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘এসপিসিপিডি’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনসার্টেড রেসপন্স টু স্টপ চাইল্ড ম্যারেজ, প্রিভেন্ট জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স অ্যান্ড ইম্প্র“ভ মেটার্নাল হেলথ ডিউরিং নেচারাল ডিজাস্টার অ্যান্ড কভিড-১৯ প্যানডেমিক’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে আরও সংবেদনশীল ও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সচেতনতা প্রয়োজন। কভিডকালে পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে মা-শিশু-নারীদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষিত রাখতে ও তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এসপিসিপিডি আয়োজিত আজকের পলিসি ডায়ালগ থেকে আগামীতে প্ল্যান অব অ্যাকশন নির্ধারণ করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারা দেশে নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। মেয়েদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে এবং এর অর্থ মায়েদের মোবাইলে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইনে চলে যাচ্ছে, যা মেয়েদের শিক্ষার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ হিসেবে কাজ করছে।
বাল্যবিবাহ ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধবিষয়ক সাব কমিটির আহ্বায়ক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মেহের আফরোজ এমপির সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালে আরও বক্তব্য দেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রমুখ।