ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৮ অক্টোবর, ২০২০ ১১:০৭

সেনাবাহিনীর ছয় ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
সেনাবাহিনীর ছয় ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বুধবার (৭ অক্টোবর) কুমিল্লা সেনানিবাসে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ আজমিনের নেতৃত্বে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকশ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোনও ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান কালার প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যে কোনও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবীর সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপরে