শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কি ভাবছে সরকার?
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ এ ছুটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মতো এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। জানা গেছে, অক্টোবরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। কারণ, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র কোন ইতিবাচক নির্দেশনা নেই।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কভিড-১৯ সংক্রমিত শিশুদের মাঝে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেশন সিনড্রম নামক জটিলতার খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক এবং তা শিশু মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে যে, মৃদু সংক্রমণের কারণেও দেহের বিভিন্ন অঙ্গ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিশুদের জন্যও প্রযোজ্য।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে জাতীয় কারিগরি পরামশর্ক কমিটি এ সিদ্ধান্তে আসে যে, এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের হার কমলেও সিঙ্গেল ডিজিটে এখনো যায়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শঙ্কার মধ্যে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, অধিক্ষেত্রের অফিসগুলো কীভাবে চালাবে তারা সেই ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, অক্টোবর ও নভেম্বরকে দুটো টার্গেট করে দুটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। তিনই বলেন, লেসন প্ল্যান তৈরি করেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পাঠ-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে অক্টোবরে খোলার বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা নেই। পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।