ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৬

বাংলাদেশের ইলিশ সারা বিশ্ব পেতে চায় : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের ইলিশ সারা বিশ্ব পেতে চায় : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী বিজিবি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র্যা ব, নৌ-পুলিশ, ইকোফিশ প্রকল্পের প্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী  এবং বিভিন্ন মৎসীজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ইলিশের যে সাফল্য এসেছে তা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশের সকল মানুষ এ কৃতিত্বের দাবিদার। আমাদের আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের কারণে এবছর ইলিশ আহরণে সাফল্য এসেছে। জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থান এবং মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইলিশের এ সাফল্য। ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সফলতার একটি প্রতিকের নাম ইলিশ। ইলিশ এখন গন্ডির বাইরে গিয়ে পররাষ্ট্র নীতিতেও ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের ইলিশ পেতে চায় সারা বিশ্ব।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখাতে পারছি। এজন্য ময়মনসিংহের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে মাছের জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বাঙালির নিজস্ব যে মাছ, তা আবার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানীরা সফল হয়েছেন।

দুবৃত্তায়ন রাষ্ট্রের উন্নয়নের পথে বাধা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন উন্নয়ন, অগ্রগতির পথে যে বাধা, তার কোনো দল নেই। রাজনৈতিক প্রভাব যেন কাউকে কাজ করা থেকে বিরত করতে না পারে। আমাদের ছোট দেশে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালনকারীরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে জায়গায় আমরা কোনো প্রতিকূলতা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না। যারা দেশের উন্নয়নের পথে বাধা, মৎস্য সম্পদের বিকাশের পথে বাধা, আমাদের পুষ্টি ও আমিষের দুর্জয় সাফল্যের পথে বাধা তাদেরকে কোনোভাবে আমরা ছাড় দেব না।

উপরে