ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৯:৪৬

পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর বিবেচনা: অর্থমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর বিবেচনা: অর্থমন্ত্রী

পেঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।   তিনি বলেন, আমাদের হাতে যেটা আছে।

যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। অতিতেও বিবেচনা করা হয়েছে এখনও বিবেচনা করা হবে।   বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমানোর জন্য। তারপরও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে জনগণ দুর্ভোগে পড়ছে। এ দুর্ভোগ লাঘবে কি পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণের দুরদশা বাড়ুক এটা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা কেউই এ প্রত্যাশা করি না। আমাদের হাতে যেটা আছে। যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। অতিতেও বিবেচনা করা হয়েছে এখনও বিবেচনা করা হবে।  

ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যকে আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কীভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রথমতো আমি ব্যবসায়ী ছিলাম সেটা আপনি কি করে জানলেন। আমি একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলাম। পাশাপাশি একটি অডিটফার্মের মালিক সেখানে কাজ করাকে কোনো জাতের ব্যবসা বলবেন। দ্বিতীয় এ মুহুর্ত থেকে গত ১০ বছরে আমার কোন ব্যবসা আপনার নজরে পড়েছে। এ তথ্য কোথায় পেলেন। আমি ব্যবসায়ী ছিলাম এখনো ব্যবসা থাকতে পারি? আমি এখন মন্ত্রী, মন্ত্রী হলে ব্যবসা করতে পারে না। এটা ইলিগ্যাল। আর আমি ব্যবসা করিও না। ভালোভাবে আপনারা সবাই জানেন। আমি সব কিছু বিক্রি করে বহু আগেই পরিষ্কার।  

অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কি ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার একটু অংশ ছিল। যদি কোনো কারণে রাজস্ব বাড়িয়ে দেই। সে কারণে যদি দাম বাড়ে সেটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দায়ী। আর বাকি অংশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দেখাশুনা করছে। অতীতেও সমস্যা হয়েছিল পড়ে তা সমাধান হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বলা লাগবে না। এখন যে আলোচনা হয়েছে তাই পরিষ্কার মেসেজ।

এডিবি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি তো সারা বছরই কাজ করে। আর আমরা করি বছরে একবার। তারা বছরে একাধিকবার করে। তারা আমাদের সম্পর্কে খারাপ বলেনি ভালোই বলেছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা বলেছে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক আট হবে। এডিবি তাদের ওভারভিউতে বলেছে, বাংলাদেশ ধীরে হলেও শুরু করেছে। আমরা ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সে কাজটি করবো। আমরা পাঁচ দশমিক দুই গতবছর বলেছিলাম। সেটা আমরা পাঁচ দশমিক ২৪ অর্জন করেছি। এবছর আমাদের আশা গতবছর আমরা যেটা করতে পারিনি আট দশমিক দুই শতাংশ। তবে এবছর আমাদের আশা বাজেটে যে প্রক্ষাপণ করা হয়েছে সেটা অর্জন করতে পারবো।  সেস্বপ্ন পূরণ করতে আমরা কাজ করছি। দেশের সব মানুষ তাদের সব কিছু উজার করে দিয়ে এ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ছয় দশমিক আট শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি যদি করতে পারি তাহলে আমরা সাউথ এশিয়া না সাউথ ইস্ট এশিয়ার সব দেশের মধ্যে আমরা তিন নম্বরে থাকবো। আর গত বছর যেটা ছিল পাঁচ দশমিক ২৪ সেটাও এ অঞ্চলের মধ্যে সবার উপরে। এখন এবছরও ছয় দশমিক আট সেটা বিবেচনা করেন তাহলে আমাদের উপরে থাকে মাত্র ভারত আর চীন। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে এগুচ্ছি। এটি আমাদের জন্য কম অর্জন নয়।

উপরে