খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশে যাত্রা, যা বললেন গণশিক্ষা সচিব
খিচুুড়ি রান্না প্রশিক্ষণের জন্য নয়, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল সঠিক বাস্তবায়নের জন্যে বিদেশে কর্মকতাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের বেশীরভাগ প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল বাস্তবায়ন করার জন্যে সেই পদ্ধতির সরেজমিন অভিজ্ঞতা নিতেই বিদেশে কর্মকতাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে প্রকল্পে।
তিনি আরও বলেন, তবে, পরিকল্পনা কমিশন এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দেবে কিনা সেটি তাদের বিষয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন কিছু ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন, তার জবাব দেয়া হবে। এর পর এটি একনেকে উঠবে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।
উল্লেখ এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে খিচুড়ি রান্না শিখতে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। পরিকল্পনা কমিশন থেকে এর অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে অধিদপ্তর। স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জনগণের টাকা খরচ করে এ ধরনের সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিপিই ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, সফরে গিয়ে কর্মকর্তারা এ ধরনের প্রকল্পের জন্য বাজার থেকে কীভাবে দ্রব্যাদি ক্রয় করা হয়, খিচুড়ি রান্নার নিয়ম এবং তা বিতরণের উপায় সম্পর্কে ধারণা নেবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিপিই, পরিকল্পনা কমিশন এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা পাঁচ বছরের মধ্যে এই সফরের সুযোগ পাবেন।
ওই প্রকল্পের পরিচালক এবং ডিপিই কর্মকর্তা রুহুল আমিন খান বলেন, পাঁচ বছরে এক হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কীভাবে খিচুড়ি রান্না করতে হয় এবং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় সে বিষয়ে তারা ধারণা নিতে পারবেন। এ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে। এজন্য বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ডিপিই প্রাথমিকভাবে বিদেশ যাত্রার জন্য পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছে। এছাড়া দেশেই প্রশিক্ষণের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। এর আওতায় পাঁচ বছর ধরে প্রায় এক কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর বিস্কুট ও রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হবে। ৫০৯টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ খাবার পাবে।