সরকার অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের শুরু করা এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের উত্তরাধিকার বন্ধে তার সরকার অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা বলছেন। কিন্তু এটা কে শুরু করেছিল? এটি শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। তখন আমাদের অনেক নেতাকর্মীর মরদেহ পাওয়া যায়নি এবং এরপরে এটি (বিচারবহির্ভূত হত্যা) প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে (খালেদা জিয়ার আমলে)। আমরা এর ধারাবাহিকতা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
তার সরকার (এ জাতীয়) অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না (বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত) এবং আমরা কখনোই তা করবো না।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সকলকে বাস্তববাদী ও গঠনমূলক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে তারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) যেন এ কাজে তাদের উদ্যম হারিয়ে না ফেলে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমাদেরও ভাবতে হবে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এবং তারা এক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি সকলকে মনে করিয়ে দেন যে তার সরকার কোনো (অপ্রত্যাশিত) ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। তারা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা ভালো তবে এটি মনে রাখা উচিত যে যারা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন এবং যে কোনো বিপদে মানুষ যাদের কাছে ছুটে আসছে তারা যেন আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুধবার ঢাকার একটি আদালত তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।