ইউএনওর ওপর হামলা: ৫ দিনেও শুরু হয়নি তদন্ত
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচদিন পার হলেও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সচিবালয় থেকে গঠিত ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্য আসিফ মাহমুদ জানান, ৩ সেপ্টেম্বর রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভুঞা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর ২ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
তিনি আরও জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠি আমি পেয়েছি। কিন্তু কমিটির প্রধান এখন পর্যন্ত তদন্তের ব্যাপারে আমাকে কোন চিঠি দেননি। তাই তদন্ত কমিটির কাজ শুরু করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে হামলার শিকার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদউদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলার আসামি রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নবিরুল ও সান্টু রায়ের রিমান্ড শুরু হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে রোববার বিকেলে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ঘোড়াগাট আমলি আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান সরকার এই হামলা মামলার প্রধান আসামি আসাদুল হককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।