প্রত্যেক জেলায় বার্ন ইউনিট করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ
আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়টি স্থানীয় চিকিৎসকরা সঠিকভাবে জানেন না। এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। স্থানীয় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে এসে এ কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি বড় অঞ্চল। কিন্তু সেখানে বার্ন ইউনিট নেই। প্রত্যেক জেলায় বার্ন ইউনিট করতে হবে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, সুশাসন ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি সঠিকভাবে দেখভাল করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ২৪ মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি নয় গ্যাসলাইন থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।
এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।