ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার উন্নতি দেখছে মেডিকেল বোর্ড

নিজের শোবার ঘরে হামলার শিকার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
শনিবার দুপুরে বোর্ডের সদস্য সচিব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের জ্ঞানের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষের জ্ঞানের মাত্রার সমান। এখন উনি সবাইকে চিনতে পারছেন। কথা বলেছেন। স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেছেন।
জাহেদ হোসেন বলেন, তবে ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান পাশ অবশ। কবে উন্নতি হবে, তা বলা কঠিন। ডান পাশের বিষয়টি বাদে ওনার অনেক উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউএনওকে এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত হয়েছেন কিনা, তা ৭২ ঘণ্টা পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসায় আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে রাজধানীর আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদকে।
এদিকে শনিবার সকালে ওয়াহিদা খানমকে দেখতে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।
বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার আনা হয়। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
হামলার ঘটনায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সদস্য আসাদুল ইসলামসহ চারজনকে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ‘সম্পৃক্ততা না থাকায়’ জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।