ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৯:১৬

বার্ন ইউনিটের সবার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
বার্ন ইউনিটের সবার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের সবারই শ্বাসনালি পুড়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সব রোগীরই শরীরের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হুসেইন ইমাম জানান, দগ্ধদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। রোগীদের শরীরের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আহত রোগীদের সবারই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের জন্য একটা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসেছিলেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সবারই চিকিৎসা চলবে। রোগীদের কার কী অবস্থা এটি কাল নাগাদ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে। তবে কেউ শঙ্কামুক্ত নন।’

এদিকে সাত বছরের জুয়েলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রাত ১১টার দিকে জুয়েল মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের ওই মসজিদের যে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এসি বিস্ফোরণ নাকি গ্যাস লিকেজ থেকে হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, তারা ঘটনার পর মসজিদে গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে পরিমাপ করেছেন। মসজিদের ভেতরে প্রায় ৭০ ভাগ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয় করবেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

উপরে