ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:৩৩

স্বাস্থ্যঝুঁকি, তবু আগের ভাড়ায় খুশি যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
স্বাস্থ্যঝুঁকি, তবু আগের ভাড়ায় খুশি যাত্রীরা

‘যত সিট তত যাত্রী’ এই নিয়মে চলা শুরু হয়েছে গণপরিবহন। সে ক্ষেত্রে, ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়াও যাত্রীদের দিতে হয়নি। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন যাত্রী ও চালক উভয়েই। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়া নিয়েও চিন্তিত যাত্রীরা। দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহণে দুই সিটে একজন করে বসার নির্দেশনা দেয় সরকার। এজন্য যাত্রীদের ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। তবে বাস্তবের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। ভাড়া বেশি নিলেও কোনো কোনো গণপরিবহনে সুরক্ষা নির্দেশনা মানতে উদাসীনতা দেখা যায়। তাই করোনাকালে যেখানে অধিকাংশ মানুষের আয় কমেছে, সেখানে যাতায়াতের বাড়তি ভাড়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া গণপরিবহন মালিক সমিতিও আগের নিয়মেই বাস চালানোর পক্ষে ছিলেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে আগের ভাড়ায় ফিরেছে গণপরিহন।

এদিকে এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালেও অনেকে নিয়ম মেনে চলেছেন। কিন্তু যারা সরকারি নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বাসে সরকার অনুমোদিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শনের বিধান রয়েছে। এ বিধান কার্যকর করতে আমি বিআরটিএ ও মালিক সমিতিকে অনুরোধ করছি।   আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ট্রিপের শুরু এবং শেষে পরিবহনকে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সারা দেশে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি জনস্বার্থে এ নিয়ম বা শর্ত মেনে বাস-মিনিবাস চালানোর অনুরোধ করছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সক্রিয় থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জনস্বার্থে ও বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহনের পুরোনো ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের।

যাত্রী পরিবহনে সরকার অনুমোদিত শর্তগুলো হলো : আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। গণপরিবহনে যাত্রীদের সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর/হেল্পার, টিকিট বিক্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বা ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের হাত ধোঁয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রা শুরু এবং শেষে বাস-মিনিমাইজগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা আর করতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, সব পরিবহন সংগঠন এবং সারা দেশে তাদের পরিবহন নেতাদের চিঠি দিয়ে আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ যাতে মানা হয় সেজন্য তারা নজর রাখবেন। কেউ নির্দেশ না মানলে সমিতি থেকে বাদ দেওয়াসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরও আগে, গত ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। এপ্রিল ও মে মাসে সে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। পরে ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তবে বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাকি অর্ধেক আসনে যাত্রী তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে বলে জানায় সরকার।

উপরে