কুয়েতে বন্দি পাপুলের ‘নতুন ব্যবসার’ তথ্য প্রকাশ
মানব ও অর্থ পাচার এবং ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য মো. শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের আরও ব্যবসা এবং চুক্তির নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির আরবী দৈনিক আল কাবাস।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, পাপুলের এমন ব্যবসায়িক লাইসেন্স আছে যার অধীনে তিনি কুয়েত থেকে প্রায় সব আমদানি করতে পারতেন! এর আগে দেশটিতে তার চারটি কোম্পানি থাকার কথা জানা যায়, যার মাধ্যমে তিনি শ্রমচুক্তি করতে পারতেন এবং দেশটিতে ক্লিনার পাঠাতে পারতেন।
আল-কাবাস পাপুলের কিছু কাগজপত্র পেয়েছে, সেখানে ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কন্ট্রাকটিং’ লাইসেন্স আছে।
এই স্বতন্ত্র লাইসেন্স দিয়ে সরকারি পর্যায়ে ক্লিনিং কন্ট্রাক্টের পাশাপাশি আরও অনেক কাজ করতে পারতেন তিনি।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে আল-কাবাস লিখেছে, এই লাইসেন্স পাওয়ার পর পাপুল কুয়েত সরকারের নজর এড়িয়ে কোনো ‘ঝামেলা ছাড়াই’ আরও বেশি শ্রমিক নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন।
অন্য ব্যবসা থেকে প্রচুর আয় দেখিয়ে সোনা এবং কার্পেট ব্যবসায় প্রবেশের পর পাপুল তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৬ জুন গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুল বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজার শ্রমিক কুয়েতে নিয়েছেন।
২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও কয়েকবার আটকাদেশ বাড়িয়ে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।