উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের চাদর-বালিশ দেয়া বন্ধ
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। সারদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে এসব আন্ত:নগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরো ১৯ জোড়া ট্রেন চালুর বিষয়ে জানানো হয়েছিলো। আর আজ থেকে আরো ১৮ জোড়া ট্রেন চালু হলো। এর আগে কয়েক ধাপে ৩০ জোড়া ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে।
১৯ জোড়া ট্রেন চালুর বিষয়টি জানিয়ে সেদিন ট্রেন পরিচালনায় ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশনার ৬ নম্বরে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাত্রিকালীন উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের ট্রেনে চাদর, কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের চাদর, বালিশ, ও কম্বল দেয়া হবে না।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ সকালে বিভিন্ন গন্তব্যে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, পারাবত ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস, এগার সিন্দুর প্রভাতী এক্সপ্রেস এই ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ট্রেন চলবে। যেহেতু এখন ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে, সেহেতু যাত্রীর চাপও বাড়বে। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নজরদারির লক্ষ্যে আমাদের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।
আজ যে ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো
চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে এগার সিন্দুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে এগার সিন্দুর গোধুলী এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্টলা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-বুড়িমারী-সান্তাহার রুটে করতোয়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী-খুলনা রুটে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, সান্তাহার- দিনাজপুর-সান্তাহার রুটে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস।
এছাড়াও চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-ঝাঝিরা-ঢাকা রুটে বলাকা কমিউটার, সান্তাহার- লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে বগুড়া কমিউটার, খুলনা-পার্বতীপুর-খুলনা রুটে রকেট এক্সপ্রেস, পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুর রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস।
গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ১৬ আগস্ট চালু হয় আরও ১৩ জোড়া ট্রেন।