সীমিত সম্পদ দিয়ে সঠিকভাবেই করোনা মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ দিয়ে সঠিকভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে। এখন প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। শুরু থেকেই দেশের প্রচার মাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে আসছে। আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা আশা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় আমরা সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রিপাবলিক অভ্ চায়না (তাইওয়ান) স্বাস্থ্যসেবায় সরকারকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ সহযোগিতা আমাদের কাজে লাগবে। পৃথিবীর অনেক দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আরও উন্নত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী সোমবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওয়ালটনের সহযোগিতায় রিপাবলিক অভ্ চায়না (তাইওয়ান) এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কর্তৃক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মেডিকেল সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হবার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের বিমান, নৌ এবং স্থল বন্দরগুলোতে সময়মত স্ক্যানিং এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তখন আমাদের পর্যাপ্ত মেডিকেল সামগ্রী ছিল না, যা ছিল তাই দিয়ে আমরা পরিকল্পিতভাবে এ মাহামারি মোকাবিলা শুরু করি। বিভিন্ন হাসপাতালকে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ঘোষণা করে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা অনেক কম। এ সকল হাসপাতালে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ সিট খালি থাকছে। এখন আমরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের সংখ্যা কমিয়ে সাধারণ চিকিৎসার জন্য খুলে দেয়ার চিন্তা করছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কোভিড-১৯ সারা দুনিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের ৬৪টি জেলায় বিনা মাশুলে স্বাস্থ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। কলসেন্টার ও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি এবং টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট অব্যাহত রাখার মাধ্যমে জীবনযাত্রা গতিশীল করার চেষ্টা করছি। করোনাকালেও গ্রামের মানুষটি পর্যন্ত উপলব্ধি করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে বৈশ্বিক মহামারির এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হতো।
রিপাবলিক অভ্ চায়না (তাইওয়ান) এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৬০০ এন-৯৫ মাস্ক, ২০ হাজার কাপড়ের মাস্ক, ১০ হাজার ফেস ফিল্ড, ৫০০ পিপিই, ২০০ গগলস এবং ২ সেট ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক লিয়াকত আলী, ঢাকাস্থ রিপাবলিক অভ্ চায়না (তাইওয়ান) এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তিথমি ডব্লিউ ডি সো।