বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের আইন নতুন করে নয়, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রণীত আইনগুলো এখন থেকে শুধু পরিবর্তন বা সংশোধন হবে, কিন্তু নতুন আইন হবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে এতে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন অর্ডার, ১৯৭৩’ সংশোধন নিয়ে আলোচনার সময় একটি মৌলিক পরিবর্তন এনেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্ট থেকে অবজারবেশন দেওয়া হলো যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে পার্লামেন্ট না থাকার সময় যে অর্ডিন্যান্সগুলো হলো এর যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো আইনে পরিবর্তন করা হবে, আর না হলে বাতিল হয়ে যাবে। ‘এটা যখন আনা হলো তখন দেখা গেলো এটা তো ওই কাভারেজের মধ্যে না। ওই এমবার্গোর মধ্যেও পড়ে না। এটা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে। সেটা হলো ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত যে আইনগুলো এখন থেকে পরিবর্তন হবে। সেগুলোও নতুন আইন হবে না। সেটা ওই আইনের সংশোধন হবে। ’ তিনি বলেন, এজন্য ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২০’ নিয়ে আসা হয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এখন তা হবে না; হবে ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন অর্ডার, ১৯৭৩’। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সরকার ছিল এবং তখন রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনাটা কেমন ছিল, এই আইনগুলো যদি হারিয়ে যায় তাহলে আর পুরোপুরি বোঝা যাবে না। এই আইনগুলো যদি কার্যকর থাকে তাহলে যারা গবেষণা করবে কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে যারা কাজ করবে তারা কিন্তু এই আইনগুলো দেখলেই বুঝতে পারবে রাষ্ট্রের কাঠামোটা তখন কীভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে। কীভাবে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করা হয়েছে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা কেবিনেটের একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই আইন সংশোধন করতে গিয়ে এটা আলোচনার একটা বড় জিনিস। ১৯৭৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত যত আইনই আসবে ওই আইনের সংশোধনী হিসেবে আসবে।