ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২০ ১১:৫১

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আনতে না পারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্লানি: শাহরিয়ার আলম

অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আনতে না পারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্লানি: শাহরিয়ার আলম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারাটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য গ্লানির বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বুধবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়োজনে ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন’ শীর্ষক এক ওয়েবনিয়ারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কখনোই সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দাবি করতে পারব না যত দিন না পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শেষ খুনিটিকে আইনের মুখোমুখি করিয়ে দিতে না পারব আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এটা যে কত বড় গ্লানি জাতি হিসেবে… তার চেয়ে অনেক বড় গ্লানি কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউশন হিসেবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরী ছাড়া বাকিরা পাকিস্তান, লিবিয়া অথবা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা দেশগুলোতেই লুকিয়ে আছেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাকি তিনজন হয় পাকিস্তান অথবা লিবিয়া অথবা আফ্রিকার যে দেশগুলোতে যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় থাকে, যেখানে সত্যিকার অর্থে মানুষকে আপনি লুকিয়ে রাখতে পারবেন- এ রাষ্ট্রগুলোর কোথাও না কোথাও তারা আছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক কূটনীতি জোরদার করেছি এদেরকে খুঁজে বের করার জন্য। আশা করছি, তাদের অবস্থান আমরা চিহ্নিত করতে পারব। তবে একটি বড়, একটি টেকনিক্যাল ইস্যু আছে, বিশেষ করে তিনজন, নূর ও রাশেদ চৌধুরী ছাড়া বাকি তিনজন তারা নাম পাল্টে ফেলেছেন। তারা পাকিস্তানি বা অন্য দেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন, সে তথ্য আমরা একটা সময় পর্যন্ত  পেয়েছিলাম। তারপর সরকারের ধারাবাহিকতার অভাবের কারণে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি। তবে আমরা এগিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন গবেষক ও কলামনিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান, সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটির অধ্যাপক শামস রহমান এবং লেখক-গবেষক হাসান মোরশেদ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য।

দীর্ঘ ৩৮ বছর পর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ  ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারপ্রক্রিয়ার অবসান শেষে পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। এরা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর চলতি বছর ১২ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের।

তবে এখনও অধরা রয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি। তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

 

উপরে