ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২০ ১১:৪৭

পদোন্নতির তিন বছর পর ‘গাড়ি সুবিধা’ পাবেন উপসচিবরা

অনলাইন ডেস্ক
পদোন্নতির তিন বছর পর ‘গাড়ি সুবিধা’ পাবেন উপসচিবরা

প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিন বছর পর গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা পাবেন উপসচিবরা।

‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা’ সংশোধন করে এ বিধান করেছে সরকার। সংশোধিত নীতিমালার গেজেট বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।

সংশোধিত নীতিমালায় গাড়ি সুবিধার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সুপারিশে সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে কমপক্ষে তিন বছর অতিক্রম করেছেন এমন কর্মকর্তা, সরকারের যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব বা জ্যেষ্ঠ সচিবদের রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিলুপ্ত বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডারের যুগ্ম-প্রধান বা এর উপরের কর্মকর্তা, সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) থেকে উপরের পর্যায়ের কর্মকর্তা, যারা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য গাড়ি সুবিধা পান তাদেরও প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব বা জ্যেষ্ঠ সচিব পদে চুক্তিতে বা রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় নিয়োজিতদের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

তবে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ওইসব পদে নিয়োজিত কেউ এর আগে সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত হলে তার জন্য এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না বলে সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে।

প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপসচিবরা গাড়ি কেনা, নিবন্ধন, ফিটনেস ও ট্যাক্সের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ পান। আর গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে পান ৫০ হাজার টাকা।

আগে যুগ্মসচিবরা প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গাড়ি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই ঋণ পেতেন। ২০১৭ সালের জুন থেকে উপসচিবদের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরও এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের ব্যয় কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি ঋণে কেনা গাড়ি ভাড়া, লিজ বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করলে তা ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।

 

 

উপরে