ক্যামেরা দেখেই শুয়ে পড়লেন রিজেন্টের শাহেদ (ভিডিও)
সুস্থ হয়েও অসুস্থতার নাটক করলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) তাকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে আনা হচ্ছিল। পথে বুকে ব্যথা উঠে অসুস্থ বোধ করলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এদিকে শাহেদ অসুস্থবোধ করলেও ক্যামেরায় ধরা পরে ভিন্ন চিত্র। ভিডিওতে দেখা যায়, অসুস্থতার অভিনয় করা শাহেদ সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বসে ছিলেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এ সময় তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল। জরুরি বিভাগে বসেই তিনি সুস্থ মানুষের মতই আচরণ করছিলেন ও কথা বলছিলেন। তবে সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখা মাত্রই অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালের বেডে শুয়ে পড়েন এবং রোগী সাজার চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, মো. শাহেদকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখন তিনি কার্ডিওলজির জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার ইসিজি রিপোর্ট ভালো। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতেও শাহেদকে বিএসএমএমইউ-তে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীরের সীমান্ত এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সোমবার (১৭ আগস্ট) দুদক কার্যালয়ে প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শাহেদ করিমকে। একই কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ছিল তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসার দিন।\